চট্টগ্রামে করোনায় আবারও প্রাণহানি, আক্রান্তের খাতায় ৬

মহামারি করোনা চট্টগ্রামে আবারও কেড়ে নিল এক জনের প্রাণ। ১৪ দিন পর আগেরদিন একজনের মৃত্যু হয়েছিল চট্টগ্রামে। একই সময়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ছয়জন। চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ।

চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত এক লাখ ২ হাজার ৩১৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে নগরের বাসিন্দা ৭৪ হাজার ২৬ জন। বাকি ২৮ হাজার ২৮৮ জন বিভিন্ন উপজেলার। অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭২৩ জন চট্টগ্রাম নগরের, বিভিন্ন উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ৬০৫ জনের।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। রোববার (১৪ নভেম্বর) জেলায় ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ওইদিন করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছিল।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের ৯টি ল্যাবে ১ হাজার ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ছয় জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চার জন নগরের বাসিন্দা। বাকি দুইজনের মধ্যে একজন ফটিকছড়ি ও একজন হাটহাজারীর উপজেলার।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে। এখানে হাটহাজারী ও ফটিকছড়ির ১ জন করে জীবাণুবাহক চিহ্নিত হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৪৭টি নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের একজনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৩ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। দুই ল্যাবে একজন করে পজিটিভ চিহ্নিত হন।

বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ২৬৭, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৫, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৩, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২টি নমুনা পরীক্ষা হয়। চার ল্যাবে ২৮৭টি নমুনার ফল নেগেটিভ আসে।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও এন্টিজেন টেস্টে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!