চট্টগ্রামে করোনাশূন্যের পরের দিনই ১২ পজিটিভ রোগী

করোনাশূন্য একটি দিন পার হওয়ার পর চট্টগ্রামে নতুনভাবে ১২ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে এ সময় করোনাভাইরাসে কেউ মৃত্যুবরণ করেননি।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১ লাখ ২ হাজার ৩৬২ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ৭০ ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩০২ জন। অন্যদিকে, মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩০ জনই রয়েছে। এর মধ্যে ৭২৩ শহরের ও ৬০৭ জন গ্রামের।

করোনা সংক্রান্ত চট্টগ্রামের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো মঙ্গলবারের (২৩ নভেম্বর) রিপোর্ট থেকে এসব সব তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর নয় ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

এতে নতুন করে সংক্রমিত ১২ জনের মধ্যে শহরের ১০ ও গ্রামের ২ জন। গ্রামের ২ জনের মধ্যে হাটহাজারী ও সীতাকুণ্ডের একজন করে রয়েছেন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৫১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে। তবে এখানে কোনো জীবাণুবাহক চিহ্নিত হয়নি। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৪৬৮টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৫টি নমুনায় গ্রামের একটিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।
বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৪৫৬টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২টিতে ভাইরাসের প্রমাণ মিলে।

আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬৯ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৪ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে।

মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের একটি ভাইরাসে আক্রান্ত বলে রিপোর্টে জানানো হয়।

এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৫টি, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৩টি ও মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২৬টি জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
তিন ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ৬৪টি নমুনার সবকটিরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।

এদিন এপিক হেলথ কেয়ার, ল্যাব এইড ও এন্টিজেন টেস্টে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!