চট্টগ্রামে করোনার তেজ আরও কমেছে, শনাক্ত ১ শতাংশের নিচে

চট্টগ্রামে করোনার তেজ আরও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ হারে নতুনভাবে ১০ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরে ৭ এবং উপজেলা পর্যায়ে ৩ জন। একই সময়ে করোনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ২ হাজার ৬০ জনে। এদের মধ্যে নগরের ৭৩ হাজার ৮৬৭ জন এবং উপজেলার ২৮ হাজার ১৯৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৩১৩ জন। যাদের মধ্যে নগরে ৭২০ জন এবং উপজেলায় ৫৯৩ জন।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ১২টি ল্যাব এবং কক্সবাজারে একটি ল্যাব মিলে ১ হাজার ৫২৬ জনের নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১০ জনের শরীরে।

শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৫৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪ জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ল্যাবে ৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ জন এবং এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৫৩টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৭৯টি, শেভরণ ল্যাবে ৫৭১টি, মেডিক্যাল সেন্টার ল্যাবে ৫টি, ল্যাব এইডে ৩টি এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তবে এসব নমুনায় করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, এদিন অ্যান্টিজেন টেস্ট ও সিভাসু ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

উপজেলা পর্যায়ে শনাক্তদের মধ্যে পটিয়া, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ায় ১ জন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদিন সাতকানিয়া, লোহাগড়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও সন্দ্বীপে নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!