চট্টগ্রামে এসে উত্তরের সালামকে শাসালেন ওবায়দুল কাদের

সংবাদ সম্মেলনে সালামের ‘অযথা’ কাণ্ডে উষ্মা

চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বক্তব্যের শেষে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন আছে কি-না জানতে চান তিনি। এই ফাঁকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুব আলমসহ নেতাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে থামিয়ে দিলেন ওবায়দুল কাদের।

রেগে আগুন কাদের সালামকে শাসিয়ে এ সময় বলেন, ‘এটা কোনো জনসভা বা কর্মীসভা নয়। প্রেস কনফারেন্সের ভাবগাম্ভীর্যতা বজায় রাখতে হবে। এখানে কাউকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নাই। সাংবাদিকরাই জানে কে বক্তব্য রাখবেন, তিনিই বক্তব্য রাখবেন। অন্যান্য যাদের তারা (সাংবাদিকরা) দেখছেন, তাদের নাম তারা উপস্থিত ছিলেন হিসেবে এটা বলতে পারেন। এগুলো আমাদের নেতৃবৃন্দের জানা দরকার।’

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন ওবায়দুল কাদের।

সাংবাদিকরা বায়েজিদ সংযোগ সড়কে টোল নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টাকা খরচ করে সুন্দর সড়ক করা হয়েছে। এতো সুন্দর সড়কে চলাচল করবেন, টোল দিতে হবে না? পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সড়কে টোল নেওয়া হয়।’

দেশের অর্থনীতিতে চট্টগ্রামের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম আরও এগিয়ে যাবে। চট্টগ্রাম আমাদের প্রাণের স্পন্দন, অর্থনীতির স্পন্দন। আমাদের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। জাতীয় অর্থনীতিতে চট্টগ্রামের অবদান আমরা স্বীকার করি। টানেল হয়ে গেলে চট্টগ্রামে জাদুকরী পরিবর্তন আসবে।’

এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত— একথা আমি বলব না। আমাদের গণতন্ত্র বিকাশমান পর্যায়ে রয়েছে। আমরা ভুল-ত্রুটি সংশোধন করতে পারব এবং বিকাশের ধারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। রাতারাতি এটির পরিবর্তন সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ২১ বছর এদেশ বলতে গেলে গণতন্ত্র ছিল না। গণতন্ত্র ছিল শৃঙ্খলিত। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে প্রথমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছেন। শেখ হাসিনার দুঃসাহসিকতায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং জেলা হত্যার বিচার হয়েছে। এসব অসম্ভব কাজগুলো তিনি সম্ভব করতে পেরেছেন।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক অপবাদ দিয়ে চলে গেছে। শেখ হাসিনা পার্লামেন্টে ঘোষণা দিয়েছেন দেশের টাকায় পদ্মা সেতু হবে এবং হয়েছে। এই পদ্মা সেতুতে প্রতিদিন আমরা দুই কোটি দশ থেকে ১৫ লাখ টাকা টোল পাচ্ছি। তারপর মেট্রোরেল হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নানা বয়সের মানুষ এটি দেখতে আসছে। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে টানেল হচ্ছে। যেটি দক্ষিণের এশিয়ার কোথাও নেই। আমি প্রথম যখন এলাকাটি দেখতে যায় তখন দাঁড়িয়ে মনে হয়নি এরকম একটা কিছু হতে পারে। সাংহাইয়ের মতো চট্টগ্রাম হচ্ছে ওয়ান সিটি টু টাউন। এ টানেলে ব্যয় হচ্ছে ১০ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। কাজের অগ্রগতি ৯৫ দশমিক ৫ শতাংশ। টানেলের কারণে কক্সবাজার আরও কাছে চলে আসবে।’

আরএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!