চট্টগ্রামে এলএনজির বড় চালান ঢুকলো গ্যাস সংকট সামাল দিতে

দেশের সবচে বড় গ্যাসক্ষেত্রগুলোর অন্যতম বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের ছয়টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংকট সৃষ্টি হয়েছে দেশে। এই সংকট সমাধানে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজিভর্তি একটি কার্গো বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালো। এই কার্গো জাহাজে রয়েছে ২৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি।

গ্যাস সংকট সমাধানে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই এলএনজি কার্গোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে জানিয়েবিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আশা প্রকাশ করেছেন, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে সরবরাহ ঘাটতির কারণে যে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে এই গ্যাস তা দূর করবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে আকস্মিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় প্রথম রমজান থেকে দেশের কিছু কিছু জায়গাতে গ্যাসের স্বল্প চাপের সৃষ্টি হয়েছিল। আমাদের অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিরলস পরিশ্রমে আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছি। বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড থেকে বর্তমানে ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে।

গত রোববার (৩ এপ্রিল) থেকে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা যায়। গ্যাসের অভাবে বাসাবাড়ির চুলা বন্ধ থাকে।

জানা যায়, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের রক্ষণাবেক্ষণ শুরু করেছে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন। সেখানকার ছয়টি কূপে রক্ষণাবেক্ষণ শুরু হলে গত রোববার দুপুরের দিকে হঠাৎ প্রায় ৪৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এতে গ্যাসের সরবরাহে বড় ধরনের সংকট দেখা দেয়। ছয়টি কূপ বন্ধ হয়ে এ সংকট শুরু হয়। তবে পাঁচটি কূপই ইতিমধ্যে চালু করা গেছে বলে জানিয়েছে গ্যাসক্ষেত্রের দায়িত্বে থাকা শেভরন।

দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৩৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। আমদানি করা ১০০ কোটি ঘনফুট ও দেশীয় ১৮০ কোটি ঘনফুটসহ দেশে গড় সরবরাহ গ্যাসের পরিমাণ দৈনিক ২৮০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে সরবরাহ করা হয় ১১০ কোটি ঘনফুট; সেই গ্যাসের মধ্যে ৪৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ কমে যায়। আর এতে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!