চট্টগ্রামে এই প্রথম স্পাইরো-ফেনো-এফওটি পরীক্ষার দ্বার খুললো এপিক হেলথ কেয়ারে

সব ধরনের পরীক্ষায় ২৫ ভাগ ছাড় ঘোষণা

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো স্পাইরো-ফেনো-এফওটি কম্বো টেস্ট শুরু হলো এপিক হেলথ কেয়ারে। এতোদিন চট্টগ্রামের কোথাও করা যেতো না এই টেস্ট। দেশের বাইরে থেকে কিংবা ঢাকা থেকে এই পরীক্ষা করতে হতো চট্টগ্রামের রোগীদের। এখন থেকে এপিক হেলথ কেয়ারে করা যাবে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় টেস্টের উদ্বোধন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এপিক হেলথ কেয়ার কর্তৃপক্ষ।

ল্যাব কর্তৃপক্ষ জানায়, ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে টেস্টের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই টেস্টসহ সব ধরনের পরীক্ষায় ২৫ শতাংশ ছাড় থাকবে। এছাড়াএ বছরের মধ্যেই এপিক হেলথ কেয়ার চট্টগ্রামে প্রথম রেফারেল ল্যাব চালু করবে, যেখানে সব ধরনের জটিল পরীক্ষা করা যাবে— যা বর্তমানে ঢাকা অথবা বাইরের দেশ থেকে করতে হচ্ছে রোগীদের। এই ল্যাবে থাকবে বেসরকারি স্বাস্থ্য সেক্টরে চট্টগ্রামের প্রথম বায়োসেফটি লেভেল-৩ ল্যাব যা বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক জীবাণু শনাক্তকরণে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।

চিকিৎসকরা বলছেন, স্পাইরো-ফেনো-এফওটি টেস্টের মাধ্যমে এন্টিমাইক্রোবিয়াল ফিল্টার ব্যবহার করে অ্যাজমা/হাঁপানি, সিওপিডিসহ ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের রোগ নির্ণয় করা যাবে। এতে রোগের তীব্রতা অনুসারে চিকিৎসা গ্রহণ করা যায়। শিশু, বয়স্ক ও গুরুতর অসুস্থ রোগী যাদের ক্ষেত্রে গতানুগতিক স্পাইরোমেট্রি সম্ভব হয় না, এফওটির মাধ্যমে এসব ক্ষেত্রে সহজেই ফুসফুসের রোগ নির্ণয় করা যায়।

এপিক হেলথ কেয়ারের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর (সেলস এন্ড মার্কেটিং) টিএম হান্নান বলেন, ‘বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিজ শহরে—এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক মানের ডায়াগনস্টিক সেবা দিয়ে আসছে এপিক হেলথ কেয়ার। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো স্পাইরো-ফেনো-এফওটি টেস্টের উদ্বোধন হলো এপিকে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বমান নিশ্চিত করার জন্যে দরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য গাইডলাইনের ‘এক্রিডিটেশন সনদ’ অর্জন এবং সেই আলোকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা। মেডিকেল ডায়াগনস্টিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্যে যে আন্তর্জাতিক নীতিমালা বিদ্যমান ও যে গাইডলাইন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃত তার নাম হল আইএসও ১৫১৮৯। ওই গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশে সর্বপ্রথম এক্রিডিটেশন পায় আইসিডিডিআরবি এবং ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে প্রথম এবং একমাত্র এক্রিডিটেশন অর্জন করে এপিক হেলথ কেয়ার। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের শুরুতেই দ্বিতীয়বারের মত এক্রিডিটেশন সনদ অর্জন করে এপিক হেলথ কেয়ার।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এপিক হেলথ কেয়ারের অষ্টম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসজুড়ে এবং পরবর্তীতে বছরজুড়ে সকল টেস্টে ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট ঘোষণা করা হয়। রোগী ও স্বজনদের ইতিবাচক সাড়া, পাশাপাশি সমাজের সর্বমহলের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ২০২৩ সালের শুরু থেকে এপিক হেলথ কেয়ারের সকল ধরনের টেস্টে ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট ঘোষণা করা হয়েছে, যা পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এপিক হেলথ কেয়ারের পরিচালক (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) মো. জসীম উদ্দিন, পরিচালক (অপারেশন্স) ডা. সাইফুদ্দীন মো খালেদ, এজিএম (অপারেশন্স) ডা. মো. ইমতিয়াজ উদ্দিন, এজিএম (এডমিন এন্ড এইচআর) মো. আরেক হোসেন, এজিএম (সেলস এন্ড মার্কেটিং) সুমন রঞ্জন ভৌমিক, এজিএম (সেলস এন্ড মার্কেটিং) মো. আমিরুল ইসলাম, সিনিয়র ম্যানেজার (এডমিন এন্ড ফ্যাসিলিটি ম্যানেজমেন্ট) বেনজির আহমেদ, ম্যানেজার (অপারেশন্স) ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (কর্পোরেট বিজনেস এন্ড ব্রান্ড ম্যানেজম্যান্ট) জহির রায়হান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!