চট্টগ্রামে ইলিশ মিলছে কম দামে, মাংসের বাজার চড়া

চট্টগ্রাম নগরীর বাজারগুলোতে ইলিশের দাম কিছুটা কমেছে। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মিলছে ৯০০ টাকায়। তার নিচে হলে দাম ৫০০ থেকে ৬০০। ওজন তার চেয়ে কিছুটা কম হলে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়ও মিলছে ইলিশ।

চলতি মৌসুমে শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইলিশের সর্বনিম্ন দাম দেখা গেল বাজারগুলোতে।

কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, সমুদ্র ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। এতে উৎসব চলছে জেলেপল্লীতে। দূরদুরান্ত থেকেও ইলিশ আসছে। তাই কমেছে ইলিশের দাম।

এদিকে হালিশহরের রাসমনির ঘাটে দেখা যায়, বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়। মাঝারি সাইজের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আগে ছোট সাইজই বিক্রি হচ্ছিল ৫০০ টাকায়।

কাটগড় ঘাট এলাকার এসকে সাগর বলেন, ইলিশের এখন ভরা মৌসুম চলছে। তাই দাম কিছুটা কমেছে। সাগরপাড়ে এখন ইলিশের উৎসব চলছে।

এদিকে চট্টগ্রাম নগরীতে হঠাৎ বেড়ে গেছে মুরগি, খাসি ও গরুর মাংসের দাম। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত এসব মাংসের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে বাড়তি থাকা মরিচ, বেগুন, সিম, টমেটোর দাম কমেছে ১০ টাকা করে।

ষোলশহর কর্ণফুলী মার্কেটের মুরগি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসান জানান, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে, সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে যার দাম ছিল ২৩০ টাকা। এছাড়া দেশি মুরগির বিক্রি হচ্ছে ৪৫০, গত সপ্তাহে ছিল ৪২০ থেকে ৪১০ টাকা কেজিপ্রতি।

মাংস ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, ‘গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে হাড্ডিসহ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়, ৭৫০ টাকা কেজিপ্রতি। গত সপ্তাহে ছিল ৬২০ টাকা থেকে ৭২০ টাকা কেজিপ্রতি। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৮০০ টাকা কেজিতে।’

চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে।

নগরীর বহাদ্দারহাট বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আমিনুল হক বলেন, ‘দুই-তিন দিন আগেও বেগুন বিক্রি করেছি ৫০-৬০ টাকা কেজিতে। যা আজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।’

তিনি বলেন, ‘সিম, মরিচ ও টমেটোর দাম কমেছে। কয়েকদিন আগে টমেটো বিক্রি করেছিলাম ১০০ টাকা কেজিতে। আজ বিক্রি করছি ৯০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচামরিচ ও শসার দাম কিছুটা কমেছে।’

চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ি বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, ‘করলা ও কচুরলতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। পটল, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে। আর লাউ ও ছোট কুমড়া বিক্রি হচ্ছে তাও ৪০ থেকে ৫০ টাকা প্রতিটি। শাকের মধ্যে পালং, পুঁই, লাউ শাক, লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা আঁটি।’

খবর নিয়ে জানা গেছে, বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। ভারতীয় পেঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। ভারতীয় ডাল ৮০ টাকা কেজি। আর ব্রয়লার মুরগির ডিমের ডজন ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। এর মধ্যে চিনি ও মোটা মসুর ডালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চিনি ৭৫ টাকা ও মোটা ডাল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মোটা চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। ভালো মানের মোটা চাল ৫০, নাজিরশাইল ৬৬ থেকে ৭০, বাংলামতি ৭৩ থেকে ৭৫, পাইজাম আতপ ৬৩ থেকে ৬৫, মিনিকেট আতপ চিকন ৫৫ থেকে ৬৮, পোলাও চাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে চট্টগ্রামে।

এএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!