চট্টগ্রামে ইনডোরের থার্টি ফার্স্ট নাইটে ‘হ্যাঁ’, আউটডোরে সিএমপির ‘না’

দুদিন বাদেই থার্টি ফার্স্ট নাইট। বছরের শেষ দিনে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে বরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে সবাই। গত কয়েক দশক ধরে বিশ্বের সাথে ৩১ ডিসেম্বর রাতে বর্ণিল সব আয়োজনের মধ্য দিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় জানাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষও। তবে এবারের থার্টি ফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠানকে ঘিরে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানের পুলিশ কঠোর অবস্থানে গেলেও সেদিকে হাঁটছে না চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। খোলা ময়দানের প্রোগ্রামে কিছু বিধিনিষেধ থাকলেও আর কোন ব্যাপারে সিএমপির নিষেধ থাকবে না বলে জানা গেছে। তবে নিরাপত্তার প্রশ্নে সতর্ক অবস্থানে থাকবে সিএমপি।

জানা গেছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটকে সামনে রেখে দুদিন আগে থেকেই নগরে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করতে আড়াই হাজার পুলিশ সদস্যকে মোতায়েন করা হবে। তবে এবারের থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে চট্টগ্রামে কোন রকমের বাধা দেওয়া হবে না বলে সিএমপি সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইনডোর প্রোগ্রামগুলোর ব্যাপারেও সিএমপির অমত নেই। অনুমতি নিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে যে কেউ থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করতে পারবে। পুলিশ শুধু নিরাপত্তার বিষয়গুলো দেখবে। নিরাপত্তা জোরদারে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হবে। এছাড়া কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। সাদা পোশাকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নজরদারি চালাবে গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা। এর বাইরে আবাসিক হোটেলগুলোতে থাকবে বিশেষ নজরদারি।

থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে কোন আশঙ্কা নেই বলে গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তবে থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে নগরে মাদক ঢোকার হিড়িক পড়েছে দাবি করে এই বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

সিএমপির উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা) এসএম মোস্তাইন হোসেন জানিয়েছেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে তরুণদের উন্মাদনা বেশি থাকে। মাদক ব্যবসায়ীরাও এর সুযোগ নিয়ে মাদকের চালান নগরীতে মজুদের চেষ্টা করে। আমরা তাদের সে সুযোগ দিচ্ছি না।’ তিনি জানান, গত ২৫ ডিসেম্বর ভোরে কোতোয়ালী মোড় ও হাটহাজারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০০ বোতল বিদেশি মদসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবু বকর সিদ্দিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা সতর্ক থাকবো। নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হবে। তবে কোন ধরনের বিধিনিষেধ থাকবে না। শুধুমাত্র আউটডোর প্রোগ্রামে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। খোলা জায়গায় কাউকে কোন প্রোগ্রাম করতে দেওয়া হবে না। তবে বাসাবাড়ি, হোটেল রেস্টুরেন্টে কেউ অনুষ্ঠান করতে চাইলে করতে পারবে।

এআরটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!