চট্টগ্রামে আসামি ছিনিয়ে নিতে ডিবি পুলিশের ওপর হামলা, রাতভর অভিযান

চট্টগ্রামে ছিনতাই মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার পুলিশ বিট স্ক্র্যাপ কলোনিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এতে ডিবি পশ্চিম জোনের পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও এসআই শেখ ফরিদ আহত হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ফাতেমাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযানে ডিবি, আকবরশাহ থানা ও খুলশী থানা পুলিশ ছাড়াও এক প্লাটুন রিজার্ভ পুলিশ অংশ নেয়।

জানা গেছে, ছিনতাই হওয়া মোবাইলের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাত সাড়ে ১০টায় ডিবির একটি টিম পাহাড়তলীর খুলশী পুলিশ বীট ফাঁড়ির পিছনে স্ক্র্যাপ কলোনিতে অভিযান চালায়। মোবাইল চুরি সঙ্গে জড়িত একজনকে এ সময় গ্রেপ্তার করে তারা।

ওই এলাকা থেকে বের হয়ে আসার সময় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ফাতেমা, শাকিল, সাগরের নেতৃত্বে হ্যান্ডকাপসহ আসামি ছিনিয়ে নিতে হামলা চালানো হয় ডিবি পুলিশের কর্মকর্তাদের উপর। এতে দুই কর্মকর্তা আহত হয়।

খবর পেয়ে খুলশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খাজা এনাম এলাহি ও এসআই গোপী নাথের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম আহতদের ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে চিকিৎসা চমেক হাসপাতালে পাঠায়।

পুলিশ এ সময় হামলায় জড়িত শাকিল ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে। পরে আকবরশাহ থানার ওসি জহির হোসেনের নেতৃত্বে ওই এলাকায় শুরু হয় সাড়াশি অভিযান। অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী ফাতেমা, তার মেয়ে শান্তা ও মঈনসহ ৫ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ২০২০ সালে একই কায়দায় মাদক ব্যবসায়ী ফাতেমা নেতৃত্বে আকবর শাহ থানার দুই কর্মকর্তার উপর হামলা হয়। ওই সময়ও আসামি ছিনিয়ে নিতে হামলা করেছিল মাদক ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে খুলশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খাজা এনাম এলাহি বলেন, ‘দুই পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো ব্যবস্থা করি। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

আকবশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেনের মুঠোফোন কল করলেও যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।

জেএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!