ছয়দিন পর চট্টগ্রামে করোনায় আরেকটি মৃত্যুহীন দিন অতিবাহিত হলো। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯৩ জন, যাদের মধ্যে ৮৮ জন বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়েছেন এবং বাকি ৫ জন হাসপাতাল থেকে। অন্যদিকে, নগরের ৬৮ এবং উপজেলার ২০ জন মিলে চট্টগ্রামে আরও ৮৮ জনের দেহে শনাক্ত হলো করোনাভাইরাসের জীবাণু।
ফলে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ১৬ হাজার ৬১২ জন। যাদের মধ্যে নগরের ১১ হাজার ৭৯০ জন এবং উপজেলার চার হাজার ৮২২ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন চার হাজার জন এবং মারা গেছেন ২৬৫ জন, যাদের মধ্যে নগরের ১৮৪ জন ও উপজেলার রয়েছে ৮১ জন। এদিন সরবরাহকৃত তথ্যে দেখা যায় চট্টগ্রামে বাড়িতে এবং হাসপাতাল মিলিয়ে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ১২ হাজার ১১৫ জন, এর মধ্যে ২ হাজার ৭১৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ৯ হাজার ৩০৬ জন বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।
সিভিল সার্জন জানান, চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি ছয়টি ল্যাব ও কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলে ৭৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে নগরের ৬৮ জন এবং উপজেলার ২০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে করোনায় কোন মৃত্যু হয়নি এবং করোনামুক্ত হয়েছেন ৯৩ জন।
সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে বিদেশগামীদের বাধ্যতামূলক করানো টেস্টসহ দিনের সর্বাধিক ২২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করোনা করা হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় ১০ জনের দেহে। এর মধ্যে ৯ জন নগরের বাসিন্দা এবং ১ জন উপজেলার।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৩ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। এদের ২ জন নগরের এবং ১ জন উপজেলার।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ২০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বোচ্চ ২৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে নগরেরই ২৩ জন, বাকি ৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৮৪ জনের করোনার পরীক্ষা হয়। তাতে ২০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে ১০ জন নগরের এবং ১০ জন বিভিন্ন উপজেলার।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জনের দেহে করোনা জীবাণু পাওয়া গেছে। এদের সবাই নগরের।
চট্টগ্রামের আরেকটি বেসরকারি ল্যাবে শেভরণ ল্যাবে ৩৪ জনের নমুনায় ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের ১৪ জনই নগরের এবং বাকি ৪ জন উপজেলার রোগী।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করেও তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ২০ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় হাটহাজারী উপজেলায়। সেখানে ৭ জন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়। এছাড়া রাউজানে ৪ জন, ফটিকছড়িতে ৩ জন, মিরসরাই ও সন্দ্বীপে ২ জন করে এবং পটিয়া ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এমএহক