চট্টগ্রামে আজও ১১ মৃত্যু, শনাক্ত আরও বেড়েছে

টানা দ্বিতীয় দিনের মতো চট্টগ্রামে করোনা কেড়ে নিল ১১ জনের প্রাণ। ১১ মৃত্যুর মধ্যে ৪ জন মহানগরের এবং ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা। একই সময়ে আরও বেড়েছে করোনা শনাক্ত। আগেরদিন ৭২৭ শনাক্ত হলেও তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮৫ জনে। যাদের মধ্যে নগরের ৬৯২ জন এবং উপজেলা পর্যায়ের ২৯৩ জন।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত বেড়ে ৮৩ হাজার ৮৭১ জন। এর মধ্যে নগরে ৬২ হাজার ৭৮০ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ২১ হাজার ৯১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৯৮৪ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে নগরের ৫৮৭ এবং উপজেলার বাসিন্দা ৩৯৭ জন।

সোমবার (২ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, এদিন চট্টগ্রামের ৭টি ও কক্সবাজারের ১টি ল্যাবে ২ হাজার ৭৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৯৮৫ জনের।

ল্যাবভিত্তিক ফলাফলে জানা যায় ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে (বিআইটিআইডি) ৩৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪৯ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৪২ জনই নগরের এবং ৭ জন উপজেলার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ১৩৭ জন ও উপজেলার ৪৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়।

অন্যদিকে, এদিন ১ হাজার ৪৮ জনের এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়। এর মধ্যে ২৮১ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৮১ জন নগরের এবং ২০০ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে উপজেলার ২ জনের নমুনায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের দেহেই ভাইরাসটির উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে নগরীর ১১ জন ও উপজেলার ২ জন।

নগরীর বেসরকারি ল্যাবগুলোর মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ১৫২ জনকে করোনার জীবাণু বাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে ১৩৭ জন নগরের এবং ১৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ৩৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫১ জনই নগরের, বাকি ১২ জন উপজেলার। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৩৭ জন ও উপজেলার ১ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১৭১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০৩ জনের দেহে করোনার বিষ পাওয়া গেছে। যাদের ৯৬ জনই নগরের, বাকি ৭ জন উপজেলার।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাব এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে কোন নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

সিভিল সার্জন আরও জানান উপজেলা পর্যায়ে শনাক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগীর খোঁজ মিলে রাঙ্গুনিয়াতে। সেখানে করোনা শনাক্ত হয় ৫৭ জন। এছাড়া, পটিয়ায় ৪৪ জন, বোয়ালখালীতে ৩১ জন, ফটিকছড়িতে ২৭ জন, লোহাগাড়ায় ২২ জন, সন্দ্বীপে ২১ জন, সীতাকুণ্ডে ১৬ জন, রাউজান ও বাঁশখালীতে ১৫ জন, আনোয়ারায় ১৪ জন, মিরসরাইয়ে ১৩ জন, সাতকানিয়ায় ১১ জন, হাটহাজারীতে ৪ জন এবং চন্দনাইশে ৩ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!