চট্টগ্রামের ৮৮ সড়কপথে ২৪ নয়, চলবে ১২ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট
জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকে পরিবহন নেতাদের ঘোষণা
চট্টগ্রামের ৮৮ সড়কপথে আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ২৪ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরুর ঘোষণা দিলেও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর তা ১২ ঘন্টায় সীমিত করে এনেছে পরিবহন শ্রমিক নেতারা। এর ফলে ধর্মঘট চলবে কাল (২৫ এপ্রিল) দুপুর বারোটা পর্যন্ত।
আজ বিকেল পাঁচটায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের এক বৈঠকের পর শ্রমিক নেতারা এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। বৈঠকে বৈঠকে জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন পূর্বাঞ্চলীয় কমিটির সভাপতি মৃণাল চৌধুরী সহ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। মতবিনিময় সভায় ৪৫টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন হত্যাকাণ্ডের শিকার শ্যামলী পরিবহনের চালক জালাল উদ্দিনের পরিবারকে সরকারি তহবিল থেকে এক লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও সংশ্লিষ্ট ১৯ সড়কপথে এবং চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কসহ সংশ্লিষ্ট ৬৮টি সড়কপথে এ ধর্মঘট ডাকা হয়।
হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় না আনা হলে রোববার সকাল ছয়টা থেকে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত বৃহত্তর চট্টগ্রামে সর্বাত্মক ধর্মঘট কর্মসূচি আহ্বান করা হবে বলে পরিবহন নেতারা জানান।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা গাজীপুরমুখী শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস চট্টগ্রামের পটিয়া থানার শান্তিরহাট এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। ওয়াই জংশনের কাছাকাছি এলে একটি মাইক্রোবাসে সাদাপোশাকে থাকা একদল লোক নিজেদের ডিবি (গোয়েন্দা শাখা) পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাসটি থামায়। ইয়াবা আছে বলে তারা চালককে হাতকড়া পরিয়ে নিচে নামায়। ৫০ থেকে ৫৫ গজ দূরে নিয়ে চালক জালাল উদ্দিনকে বেদম মারধর করে। এরপর তাকে গাড়িতে ওঠায়। তারা সবকিছু তল্লাশি করে কিছু পায়নি। এরপর আবার ওই চালককে বাস থেকে নামিয়ে বেদম মারধর করা হয়। এতে চালক জালাল উদ্দিন অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে বাসে তুলে দেওয়া হয়। আহত ও চালককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
পরিবহন নেতাদের অভিযোগ, গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তাদের হাতে ওয়াকিটকি ও অস্ত্র ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তারা সন্দেহ করছে।