চট্টগ্রামের ৬ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা আর হবে না, ঢাকায়ও পাঁচ

রোগী না থাকায় ‘অযথা’ অর্থ ব্যয় হচ্ছে

রোগীর অভাবে চট্টগ্রামের ছয়টি হাসপাতালে করোনাভাইরাস চিকিৎসার কার্যক্রম বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার। এসব হাসপাতাল দ্রুত বন্ধ করে দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে প্রস্তাব গেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। হাসপাতালগুলো সচল রাখায় ‘অযথা’ অর্থ ব্যয় হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

চট্টগ্রামে যে ছয় হাসপাতালে করোনাভাইরাস চিকিৎসার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে— সেগুলো হল ফৌজদারহাটের বিশেষায়িত হাসপাতাল বিআইটিআইডি, হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল, চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল (ইউএসটিসি), ভাটিয়ারী ফিল্ড হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম করোনা আইসোলেশন সেন্টার। এরই মধ্যে অবশ্য ভাটিয়ারী ফিল্ড হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম করোনা আইসোলেশন সেন্টার আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

চট্টগ্রামের এই ছয় হাসপাতালের পাশাপাশি ঢাকার পাঁচটি এবং সিলেটের একটি হাসপাতালেও করোনাভাইরাস চিকিৎসার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে ঢাকার হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, লালকুঠি হাসপাতাল ও বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতাল। এর মধ্যে গত ৮ সেপ্টেম্বর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অন্যদিকে সিলেটে রয়েছে একটিমাত্র হাসপাতাল— এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বন্ধের প্রস্তাব করা হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। অথচ জনবল ও যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ এসব হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার কার্যক্রম চালু রাখায় ‘অযথা’ অর্থ ব্যয় হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকাশিত হিসাব মতে, বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ১৪ হাজার ২৭৫টি সাধারণ শয্যার ৩ হাজার ১১০টিতে করোনাভাইরাসের রোগী ভর্তি ছিল। খালি ছিল ১১ হাজার ১৬৫টি শয্যা। ৫৪৭টি আইসিইউ শয্যার ৩০১টিতে রোগী ভর্তির বিপরীতে খালি ছিল ২৪৬টি। এর মধ্যে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত চট্টগ্রামের ৯টি হাসপাতালে এদিন ৭৮২টি শয্যার ৬১২টিই ছিল খালি। রোগী ভর্তি ছিল ১৭০টি শয্যায়। ৩৯টি আইসিইউ শয্যার ১৮টিতে রোগী ভর্তির বিপরীতে খালি ছিল ২১টি শয্যা।

এদিকে যেসব সরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে সাধারণ রোগীদেরও ভর্তি করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে সব হাসপাতাল বন্ধ করতে চাইছে না। আবার করোনার সংক্রমণ শুরু হলে নতুন করে হাসপাতাল উপযোগী করতে সময় লাগবে, সেকথাও মাথায় রাখা হচ্ছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!