চট্টগ্রামের ৩৩ হাজার কেজি নথি দিয়ে নতুন কাগজ বানাবে নারায়ণগঞ্জের মিল

পণ্য আমদানি-রপ্তানির কাজে চট্টগ্রাম কাস্টমসে প্রতিদিন ব্যবহার হয় শত শত পৃষ্ঠা কাগজ বা নথি। কাজ শেষে, প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে এসব কাগজ জমে স্তুপ হয়ে যায়। ফলে জায়গা খালি করতে সেসব কাগজ পুড়িয়ে নষ্ট করে ফেলতে হয় কর্তৃপক্ষকে।

কিন্তু এবার ব্যবহার হওয়া এসব পুরানো কাগজপত্র বা নথি আগুনে পুড়ে ধ্বংস না করে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। নথিগুলো কিনে নিয়েছে নারায়ণগঞ্জের সোনালী পেপার মিল লিমিটেড।

তারা এসব কাগজ পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে আবারও কাগজ তৈরি করবে। এতে সরকারের বিপুল রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি আগুনে পুড়ার ক্ষতি থেকেও বাঁচছে পরিবেশ।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসে ধ্বংস করার মতো এমন পুরোনো নথির পরিমাণ অন্তত ১০ লাখ পিস। পুরানো এসব কাগজপত্র বা নথি প্রায় একবছর ধরে এক জায়গায় জড়ো করা হচ্ছিল। প্রতি গ্রুপ থেকে পুরোনো নথি বস্তায় ভর্তি করে রাখা হয়েছে। কাস্টমস হাউসের কক্ষে জায়গা সংকুলন না হওয়ায় হাউসের বারান্দায়ও রাখা হয় নথি।

গত সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জে পাঠানো হয়েছে ৩৩ হাজার কেজি নথিপত্র। প্রতি কেজি কাগজ ১৬ টাকা দরে কিনে নিয়েছে সোনালী পেপার মিল। এর আগে গত বছরের শুরুর দিকে কাস্টমস হাউস উক্ত নথিগুলো আগুনে পুড়ে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা করা সম্ভব হয়নি।

কিন্তু পরে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে পেপার মিলে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় কাস্টমস হাউস। এ কাজের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়। যুগ্ম কমিশনার (জেটি) তোফায়েল আহমদকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার আগেই এ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সে সময় কমিটির প্রধান ছিলেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার (জেটি) শামসুজ্জামান।

কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন, ‘২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সব নথি ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে যেসব চালানের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে, সেসব চালানের নথি সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মামলা সংক্রান্ত সব নথি মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংরক্ষণ করবে কাস্টমস হাউস।’

তিনি বলেন, ‘আগুনে পুড়ে ধ্বংস না করে পেপার মিলে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ছে।’

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!