চট্টগ্রামের ১৭ পাহাড়ে ৮৩৫ পরিবারের বিপজ্জনক বসবাস

চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৭টি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধভাবে বসবাস করছে ৮৩৫টি পরিবার। এর মধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারে সংখ্যা ৫৩১টি এবং সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগের মালিকানাধীন সাতটি পাহাড়ে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩০৪টি। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে অবৈধ বসবাসকারীদের হালনাগাদ তালিকা পাঠানোর জন্য গত ২১ মার্চ সহকারী কমিশনার (ভূমি) আগ্রাবাদ, সদর, বাকলিয়া, কাট্টলী, পতেঙ্গা ও চান্দগাঁও সার্কেল বরাবর চিঠি দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন।

chittagong-hill-landslide info

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ব্যক্তিমালিকাধীন একে খান অ্যান্ড কোম্পানির পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ২৬টি, হারুন খান সাহেবের পাহাড়ে (বায়তুল আমান সোসাইটি) ৩৩টি, আকবর শাহ আবাসিক এলাকা সংলগ্ন পাহাড়ে ২৮টি পরিবার, ফয়েজ লেক আবাসিক এলাকা সংলগ্ন পাহাড়ে ৯টি পরিবার, ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট সংলগ্ন পাহাড়ে ৩৩৪টি পরিবার, ভিপির লালখান বাজার জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসা সংলগ্ন পাহাড়ে ১১টি পরিবার, এমআর সিদ্দিকীর পাহাড়ে ৮টি পরিবার, মিয়ার পাহাড়ে ৩২টি পরিবার, ভেড়া ফকিরের পাহাড়ে (রৌফাবাদ, অক্সিজেন) ১১টি পরিবার, আমিন কলোনী সংলগ্ন ট্যাংকির পাহাড়ে ১৬টি পরিবার অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে।

অন্যদিকে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের মালিকাধীন কৈবল্যধাম বিশ্ব কলোনীর পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাস করছে ২৮টি পরিবার, বাংলাদেশ রেলওয়ের লেকসিটি আবাসিক এলাকা সংলগ্ন পাহাড়ে ২২টি পরিবার, সিটি করপোরেশনের পরিবেশ অধিদপ্তর সংলগ্ন পাহাড়ে ১০টি পরিবার, বাংলাদেশ রেলয়ের/কনকর্ডের পূর্ব ফিরোজ শাহ এক নম্বর ঝিল সংলগ্ন পাহাড়ে ২৮টি পরিবার, এপির পলিটেকনিক কলেজ সংলগ্ন পাহাড়ে ৪৩টি পরিবার, মধু শাহ পাহাড়ে ৩৪টি পরিবার, বাংলাদেশ রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম ওয়াসার মালিকানাধীন মতিঝর্ণা ও বাটালী হিল সংলগ্ন পাহাড়ে ১৬২টি পরিবার অবৈধভাবে বসবাস করছে।

এ বিষয়ে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী নগরীতে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় ছিল ৩০টি। ২০১৫ সালের ২ জুন অনুষ্ঠিত এক সভার আলোকে ইস্পাহানী পাহাড় ও জেমস ফিনলে পাহাড়ের নাম ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের তালিকা করা হয়। ওই ২৮টি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছিল ৬৮৪টি পরিবার। এ বছরের জরিপে তা দাঁড়িয়ে ৮৩৫টি।’ এসব বসবাসকারীদের উচ্ছেদে পাহাড় মালিক ও সংস্থাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!