চট্টগ্রামের ১২ হাসপাতালকে করোনার চিকিৎসা দিতেই হবে, হাইকোর্টের নির্দেশ

এক সপ্তাহ সময় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনকে

স্বাস্থ্য বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুয়ায়ী চট্টগ্রামের ১২টি বেসরকারি হাসপাতালে দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে চট্টগ্রামের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকগুলোতে কতজন করোনা আক্রান্ত রোগীকে কী কী সেবা দেওয়া হচ্ছে সে বিষয়েও প্রতিবেদন জমা দিতে চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জনকে ২২ জুন পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

চট্টগ্রামের এই ১২টি হাসপাতালগুলো হল পার্কভিউ হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার, ইস্পেরিয়াল হাসপাতাল, সার্জিস্কোপ হাসপাতাল, ডেল্টা হাসপাতাল, সিএসটিসি হাসপাতাল, সিএসসিআর হাসপাতাল, ন্যাশনাল হাসপাতাল, এশিয়ান হাসপাতাল, ওয়েল হাসপাতাল, মেট্টোপলিটন হাসপাতাল ও ম্যাক্স হাসপাতাল।

হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, করোনা উপসর্গ সন্দেহ করে কোনো রোগী যদি চিকিৎসা না পেয়ে মারা যায় সেটি হবে ফৌজদারি অপরাধ।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত কার্যকর চিকিৎসা নিশ্চিতের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের দুজন আইনজীবীর করা রিট পিটিশনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জেবিএম হাসান।

মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. আজিজুল হক নামে দুজন আইনজীবীর করা এই রিট পিটিশনের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ বাকির উদ্দিন ভূইয়া।

অ্যাডভোকেট বাকির উদ্দিন ভূইয়া আদালতের আদেশের বিষয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ ১২টি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল গত ৪ এপ্রিল। পরে স্বাস্থ্য বিভাগ এই অবস্থান থেকে সরে আসে। গত কিছুদিন ধরে চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দৃশ্যত যে চিকিৎসা সংকট তৈরি হয়েছে তার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের দুজন আইনজীবী ওই প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। ওই পিটিশনের শুনানি শেষে মহামান্য হাইকোর্ট শীঘ্রই ৪ এপ্রিল দেওয়া চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।’

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৫ মার্চ অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরােধ ও মােকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ সমন্বয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটির ৪ সদস্য সরেজমিনে পরিদর্শন করে চট্টগ্রামের ১২টি হাসপাতালের তালিকা চূড়ান্ত করেন। ৪ ধাপে পর্যায়ক্রমে ওই হাসপাতালগুলোর আইসিইউ বেড ব্যবহারের কথা জানিয়ে গত ৪ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছিল চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে নানা নাটকীয়তায় সেই প্রজ্ঞাপন আর আলোর মুখ দেখেনি।

এআরটি/এসএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!