চট্টগ্রামের হাসপাতালে ‘গলাকাটা’ বিল করোনা চিকিৎসায়, বাড়ছে নালিশ

অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা, অহেতুক চার্জ

চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালে শয্যা সংকটের বিপরীতে বেসরকারি হাসপাতালগুলো খানিকটা আশার আলো দেখালেও এসব হাসপাতালের বিল নিয়ে চরম ভোগান্তির কথা উঠে আসছে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো রোগীদের কাছ থেকে ‘গলাকাটা বিল’ আদায় করে নিচ্ছে— এমন অভিযোগের ব্যাপারে চট্টগ্রামের সুশীল সমাজ, চিকিৎসক কিংবা হাসপাতাল-কর্মীরাও দ্বিমত করছেন না।

তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ বরাবরের মতই অস্বীকার করছে। যদিও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা সার্ভিল্যান্স কমিটি জানাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত বিল আদায়ের বিভিন্ন অভিযোগ তাদের কাছেও আসছে— যেগুলো তারা যথাসাধ্য সমন্বয়ের চেষ্টাও করেন। তবে এই মুহূর্তে সরকারি হাসপাতালের শয্যা কম থাকায় বেসরকারি হাসপাতালের ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে সেটাও তাদের বিবেচনা করতে হচ্ছে।

‘গলাকাটা’ বিল ওঠে ঘন্টায় ঘন্টায়

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া চট্টগ্রামের এক তরুণ বেশ কিছুদিন আগে মধ্যরাতে করোনা আক্রান্ত মাকে নিয়ে ৩ হাসপাতাল ঘুরে শেষে ভর্তি করান বেসরকারি হাসপাতাল ম্যাক্সে। একদিনে সেই হাসপাতালে তার বিল আসে ৭৪ হাজার টাকা। অথচ এই পুরো সময়ে এক ফোঁটা অক্সিজেনও লাগেনি তার মায়ের জন্য। শুধু ওই তরুণই নয়, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বেশিরভাগ রোগীর অভিজ্ঞতাই এমন।

সন্দ্বীপ উপজেলার এক আওয়ামী লীগ নেতা মধুসূদন মুখার্জি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬ দিন চিকিৎসা নেন চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন হাসপাতালের এইচডিইউ ওয়ার্ডে। ৬ দিন পর মারা যান মধুসূদন মুখার্জি। এই ৬ দিনে মধুসূদন মুখার্জির বিল আসে ৩ লাখ ৬ হাজার টাকা।

রোগীদের স্বজনরা তো বটেই, চিকিৎসকদের অনেকেই মনে করছেন করোনা চিকিৎসায় অস্বাভাবিক বিল তুলছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো। এটা নিয়ে অস্বস্তি আছে হাসপাতালের কর্মকর্তাদের মধ্যেও।

ম্যাক্স হাসপাতালে মায়ের চিকিৎসা করানো ওই তরুণের কাছ থেকে পাওয়া বিলে দেখা গেছে ৩০ ঘন্টায় তার কেবিন ভাড়া এসেছে ৪ হাজার টাকা। এই ৩০ ঘন্টায় রোগীর বিভিন্ন টেস্ট করতে খরচ হয়েছে মোট ২০ হাজার ৮০০ টাকা! এই সময়ের মধ্যে কনসালট্যান্টের ফি ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৩০০ টাকা এবং ওষুধ বাবদ খরচ উঠেছে ২৩ হাজার টাকা।

অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা, অহেতুক চার্জ

গত ২০ জুন রাতে চট্টগ্রামের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ তার বাবা হাবিবুর রহমানকে ভর্তি করান চট্টগ্রামের ওআর নিজাম রোডের মেট্রোপলিটন হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)। ওই রোগী সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার মাত্র ১২ ঘণ্টায় ছেলের হাতে ৯৫ হাজার ৯৮২ টাকার একটি বিল ধরিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই বিলের কপিতে দেখা যায়, রোগীর এক রাতের বেড চার্জ বাবদ রাখা হয়েছে ৯ হাজার টাকা, ওষুধ বাবদ ৩১ হাজার ৭২২ টাকা, অক্সিজেন চার্জ ৫ হাজার ৫০০ টাকা, প্যাথলজি বাবদ ১৩ হাজার ৬৩০ টাকা, সার্ভিস চার্জ ১৫ হাজার ৯৯৭ টাকা, কনসালটেশন ফি ৭ হাজার ৩৭০ টাকা এবং রেডিওলজি বিল ৭ হাজার ৬২ টাকা। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ কনসালটেশন চার্জ, নেবুলাইজেশন চার্জ, অ্যাম্বুলেন্স চার্জ বাবদও বিল করা হয়েছে।

গত ২৭ জুলাই সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে বেসরকারি হাসপাতাল ডেল্টা হেলথ কেয়ারের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা আবুল বসর খান (৭৫)। পরবর্তী দুই দিনে তার বিল আসে ২ লাখ ১০ হাজার ৭৯১ টাকা। বিলে যেসব খাত উল্লেখ করে টাকা নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে— রোগী ভর্তি ফি ১৫০০ টাকা, কেবিন চার্জ একদিনে ৭ হাজার করে ২ দিনে ১৪ হাজার টাকা, হাইফ্লো মেশিন বাবদ ২৩ হাজার ৪০০ টাকা, হাইফ্লো অক্সিজেন বাবদ ২৯ হাজার ২৫০ টাকা, আইপিডি কনসুলেশন ৭ হাজার ৫০০ টাকা, মেডিকেল ইউটিলাইজ ৩৭ হাজার ৬৮৫ টাকা, মেডিসিন ৪৯ হাজার ৩৯ টাকা, প্যাথলোজি ৯ হাজার ১০০ টাকা, রেডিওলোজি ৬০০ টাকা। এর সঙ্গে সার্ভিস চার্জ ৩৮ হাজার ৭১৭ টাকা।

সার্ভিস চার্জের যৌক্তিকতা কোথায়?

ওষুধ খরচ ও টেস্টের বিল নিয়ে হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে চিকিৎসক ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকেও। চট্টগ্রামের সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও টিআইবি চট্টগ্রামের সভাপতি আকতার কবির চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ওষুধ আর টেস্টের জন্য তো একবার রোগী টাকা খরচ করছেন। সেগুলো হাসপাতাল থেকেই নিতে বাধ্য করার কথা না। কিন্তু হাসপাতাল থেকে তাদের সেসব নিতে হচ্ছে। এই নেওয়ার সময় তারা একবার ব্যবসা করছে, আবার তারা সেটা বিলে যোগ করে তার ওপর সার্ভিস চার্জ বসাচ্ছে। কিন্তু রোগী যদি এসব বাইরে থেকে নিত তাহলে এই সার্ভিস চার্জ তো দেওয়া লাগতো না। এই সার্ভিস চার্জ নেওয়া তো স্পষ্ট অনিয়ম। এর বাইরে অনেক জায়গায় টেস্টের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কমিশন যেটা ছাড় দিতো আগে, সেটাও দেয় না এখন। অথচ এই সময়ে সবারই আরও বেশি মানবিক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা একদমই হয়নি। হাসপাতালগুলোতে যে বিল করা হয় সেটা গলাকাটাই বলা চলে।’

তিনি বলেন, ‘ধরুন একটা রোগীর ওষুধ খরচ যাচ্ছে ২০ হাজার, টেস্ট করানো হচ্ছে ২০ হাজার টাকার। এটার জন্য সে তো একবার টাকা দিয়েছে। সেটা ওপর ২০ শতাংশ হারে পরে বাড়তি সার্ভিস চার্জ আসে ৮ হাজার টাকা। কিন্তু এই সার্ভিস চার্জের যৌক্তিকতা কোথায়?’

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও করোনাবিষয়ক স্বাচিপের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়ক আ ম ম মিনহাজুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয় খাতে বিল বাড়ানো হচ্ছে। এমন হওয়ার কথা না, কিন্তু হচ্ছে। একটা বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ সেবা নিলেও প্রথম দিনে কিছু বেশি বিল হয়তো আসতে পারে, কিন্তু পরে গড়ে সেটা ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার বেশি হওয়ার কথা না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নরমাল বেডেও এর চেয়ে বেশি খরচ আসছে।’

মনে কষ্ট, তবু বলতে চান না

ম্যাক্স হাসপাতালের বিলের বিষয়ে যে তরুণ তথ্য দিয়েছেন তার শর্ত হচ্ছে কোনভাবেই তার নাম প্রকাশ করা যাবে না। কেন এমন শর্ত দিচ্ছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে ওই তরুণ বলেন, ‘তিন হাসপাতাল ঘুরে আমার কাছে ওই মুহূর্তে হাসপাতালে একটা শয্যা পাওয়াকেই পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ বলে মনে হচ্ছিল। অনেকজনকে অনেক অনুরোধ করে একটা শয্যা পেয়েছি। এখন শয্যা পাওয়ার পর বিল নিয়ে কষ্ট হলেও এটা নিয়ে কথা বলতে গেলে যারা হাসপাতালে শয্যা যোগাড় করতে সাহায্য করেছেন তারাও কষ্ট পাবেন। যদিও এই বিলটা অন্যায্য।’

শুধু ওই তরুণই নয়, বেশিরভাগ রোগীর স্বজনই এই একটি কারণে বিল নিয়ে ঢালাওভাবে কথা বললেও শেষ পর্যন্ত খুব একটা উচ্চবাচ্য করছেন না। আর হাসপাতালে শয্যা সংকটের প্রেক্ষিতে শয্যা পাওয়ায় রোগীর স্বজনদের এমন দুর্বলতাকেই হাতিয়ার করছেন বেসরকারি হাসপাতাল মালিকরা— এমনটাই বক্তব্য নাগরিকদের।

কেন এত বেশি বিল?

এই বিলের বিষয়ে একাধিক ডাক্তারের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাদের সকলেই বিলের যেসব অসঙ্গতি বলেছেন তা মোটামুটি একই। এত অল্প সময়ে রোগীর এত বেশি টেস্ট, ওষুধ এবং এই সময়ে কনসালটেন্সি ফি বাবদ এত খরচকে অপ্রয়োজনীয় ও অমানবিকই মনে করছেন তারা।

বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এত বেশি বিল কেন হচ্ছে— এই বিষয়টি জানতে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হয় চট্টগ্রাম প্রতিদিনের পক্ষ থেকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বেসরকারি হাসপাতালের এডমিন বিভাগে কর্মরত এক কর্মকর্তা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, কোভিড রোগীর প্রধানত তিন জায়গায় খরচ হচ্ছে প্রচুর। এগুলো হচ্ছে ওষুধ, টেস্ট ও অক্সিজেন। এর বাইরে কিছু বিষয়ে অসঙ্গতি আমাদের নজরেও পড়ে। যেমন কোথাও কোথাও টেস্টের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে টেস্টে যে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমিশন দেওয়া হতো সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সিট ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব একসাথে যোগ হয়ে আবার সার্ভিস চার্জে টাকা বাড়াচ্ছে। তবে সব হাসপাতালেই এমনটা হচ্ছে বিষয়টা তেমন নয়। কোনো কোনো হাসপাতাল করছে।

বেশি বিল আসার কথা স্বীকার করে নিলেও এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম বা ভুল নেই বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

ম্যাক্স হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার রঞ্জন প্রসাদ দাশগুপ্ত চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘রোগীদের বিল বেশি আসছে এটা সত্য। কিন্তু এর কারণও তো আছে। আমাদের সিট ভাড়া বাড়ানো হয়নি। তবে কোভিডের কারণে যারা সেবা দেয় তাদের পিপিইসহ নানা সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়া লাগে। এটা তো কোভিডের আগে লাগতো না, এখন লাগে। তো এজন্য দিনে ২ হাজার টাকা বাড়তি নেওয়া হয়। তাছাড়া বেশিরভাগ রোগীকেই হাইফ্লো দিতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে ঘন্টায় ৫০০ করে ২৪ ঘন্টায় খালি অক্সিজেন বিলই আসে ১২ হাজার টাকা। টেস্টের ক্ষেত্রেও কত বিল নেয়া হবে সেগুলো সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।’

এছাড়া ওষুধ আর টেস্টের ক্ষেত্রে অভিযোগের বিষয়ে রঞ্জন প্রসাদ বলেন, ‘রোগীদের মধ্যে ওষুধ আর টেস্টের বিল নিয়ে একটা অভিযোগ আছে। এমনটা কেউ করলে আমরা তাকে আলাদা বিল দিয়ে দিই। আর বলি বাইরে গিয়ে এটা চেক করে কোন অসঙ্গতি পায় কিনা দেখতে।’

রোগীদের হাসপাতাল থেকেই টেস্ট করানোর কিংবা ওষুধ নেওয়ার বাধ্যবাধকতার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো রোগীদের সুবিধার্থেই করা হয়েছে। রোগীর হয়তো ইমিডিয়েট ওষুধ লাগছে। দেখা গেল বাইরে থেকে সেটা আনতে আনতে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এমন দু একটা ঘটনাও ঘটেছে। তাই কেউ বাইরে থেকে ওষুধ আনানোর জন্য আমাদের অনুমতি চাইলেও সেটা আমরা দিচ্ছি না।’

এক্ষেত্রে ওষুধ এবং টেস্টের জন্য রোগী টাকা খরচ করার পরেও সেটা আবার বিলের সাথে যুক্ত করে সেগুলোর ওপর সার্ভিস চার্জ যোগ করার যৌক্তিকতা কী— এমন প্রশ্নের উত্তরে ম্যাক্স হাসপাতালের এই জেনারেল ম্যানেজার বলেন, ‘দেখুন আমাদের যেসব কর্মী সেবা দেয় তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দেয়। এখনও আমাদের ১৭ জন স্টাফ করোনা আক্রান্ত। অনেক বেশি লোকবল লাগছে। আগে যাকে ১০ হাজার টাকা বেতন দিতে হতো, তাকে এখন দ্বিগুণ দিয়ে কাজে রাখতে হচ্ছে। এই সার্ভিস চার্জটা না নিলে আমরা হাসপাতাল চালাবো কিভাবে?’

নালিশ যাচ্ছে সার্ভিল্যান্স টিমেও

বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা তদারকির জন্য গত বছর চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার একটা সার্ভিল্যান্স টিম করেছিলেন। সে সময়ে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণে সফল ভূমিকা রেখেছিল ওই কমিটি। অতিরিক্ত বিল নিয়ে নানা অভিযোগের বিষয় সার্ভিল্যান্স কমিটি কিভাবে দেখছে— এমন প্রশ্নের জবাবে সার্ভিল্যান্স কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মিজানুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিল নিয়ে অনিয়ম হচ্ছে। অনেকে আমাদের কাছে অভিযোগ করছেন। আমরা সেসব সমাধানও করছি। কিন্তু আমাদের এটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে যে সরকারিভাবে যখন ৬০০ থেকে ৭০০ রোগী চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তখন বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় প্রায় ১১০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এই মুহূর্তে চিকিৎসার বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে বিলের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে কেউ এলে সেটা আমরা দেখছি।’

এক্ষেত্রে ঢালাওভাবে অভিযোগ না করে ভুক্তভোগীদের সার্ভিল্যান্স কমিটির সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!