চট্টগ্রামের সড়কে গাড়ি কম থাকলেও মানুষ বিস্তর, অর্ধেক শাটার টেনে চলছে দোকানও
লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে প্রশাসনও ‘হঠাৎ ঠাণ্ডা’
করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় দেশব্যাপী সাতদিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও চট্টগ্রামের রাস্তায় রিক্সা ও মোটরসাইকেলের দাপট ছিল বেশি। মাঝেমধ্যে অল্পস্বল্প মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ছাড়া মোটরচালিত যাত্রীবাহী যানবাহন তেমন ছিল না রাস্তায়।
এসবের বাইরে গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত বাস-টেম্পো-হাইসের দেখাও মিলেছে রাস্তায়। লকডাউন বলতে ওই এটুকুই। এর বাইরে বরাবরই জীবনযাত্রা ছিল অন্যান্য সময়ের মত স্বাভাবিক।
প্রথম দিনে বেশিরভাগ এলাকায় দোকানপাট বন্ধ থাকলেও দ্বিতীয় দিনে প্রায় দোকানপাটই ছিল খোলা। অর্ধেক শাটার ফেলে চলে বেচাকেনার কাজ। রমজানের আবহে পর্দা দিয়ে চলে টং দোকানের বেচাকেনাও। সড়কে ভ্যানগাড়িতে সবজি ও ফল বিক্রেতাদের দেখাও মিলেছে মোড়ে মোড়ে।
এদিন লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও সেভাবে চোখে পড়েনি। লকডাউনে বিনা কারণে কারও বের হওয়ার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থানের কথা বলা হলেও শহর ঘুরে কোথাও রাস্তায় থাকা মানুষকে কেন ঘর থেকে বের হয়েছে এই বিষয়ে জবাবদিহিতার মুখে পড়তে দেখা যায়নি।
শুক্রবার(২ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে নগরীর সিটিগেইট এলাকা থেকে হালিশহর আসেন বাপ্পী। রিক্সা থেকে নামতেই চুনা ফ্যাক্টরির মোড়ে তার সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি জানান, ‘সিটি গেইট থেকে রিক্সায় চুনা ফ্যাক্টরি মোড় আসেন তিনি। আসতে কর্নেলহাট, একে খান, অলংকার মোড়, সাগরিকা ও নয়াবাজারের মত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে আসা এই তরুণকে কোথাও কোন তল্লাশির মুখে পড়তে হয়নি।’
খানিকটা হেসে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘ভাই সবই তো স্বাভাবিক। কোথাও কোন সমস্যা হয়নি। আপনারা যেভাবে দেখাচ্ছেন রাস্তায় তার কিছুইতো নাই।’
নগরের বেশ কয়েকটি সড়কে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও পুলিশের টহল সেভাবে চোখে পড়েনি। তবে বিকাল ৫টা বাজতেই দোকানপাট বন্ধ করতে তৎপর দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।
এআরটি/কেএস