শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, আমরা সবাই আজকে এখানে মুজিববর্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেখতে এসেছি। আমাদের সময়ে পড়ালেখার জন্য ঠিকমত বইখাতা পেতাম না। অথচ বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তোমাদের হাতে বছরের শুরুতে বই তুলে দিচ্ছেন। বাস সার্ভিস চালু করেছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় নগরীর আউটার স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম হলে চট্টগ্রামের স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ১০টি দ্বিতল বাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মহিবুল হাসান চৌধুরী উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের সময়ে আমরা কম্পিউটার দেখিনি। বর্তমান সরকার প্রাথমিক স্কুল থেকে সব বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ও ইন্টারেনট সংযোগ দিয়েছে। এটি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বের গুণে সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু না জন্মালে আমরা এত উন্নত হতে পারতাম না। আমরা হয়ত আফগানিস্তানের মত অবস্থায় থাকতাম।
তিনি বলেন, সবাইকে বাসের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। পাঁচ টাকা ভাড়া দিয়ে স্কুল পোশাক পরে তোমরা বাসে করে যাতায়াত করতে পারবে। দেশ এগিয়ে যাওয়ার পেছনে বেসরকারি খাতের অবদান রয়েছে। জিপিএইচ ইস্পাত শিক্ষার্থীদের বাস সার্ভিস চালুতে ভূমিকা রেখেছে।
জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন বলেন, মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, চট্টগ্রাম সব সময় এগিয়ে থাকে। আজকে চট্টগ্রামে প্রথম শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু করে তা সত্যি প্রমাণিত হলো। শিক্ষার্থীদের দাবি মতে প্রধানমন্ত্রী দশটি বাস উপহার দিয়েছেন। প্রত্যেক বাসে ছয়টি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। কোন শিক্ষার্থী পাঁচ টাকার অতিরিক্ত ভাড়া দেবে না। দিলে তা ফুটেজে ধরা পড়বে এবং তাদের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু হাসান সিদ্দিকি বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য একটি খুশির দিন। দীর্ঘ চেষ্টার ফসল হিসেবে আজকের বাস সার্ভিস চালু। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাসে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত দুর্ভোগ কমবে। বাসে সিসিটিভি, সততা কাউন্টার থাকবে। ফলে শিক্ষার্থীদের কোন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হবে না। সবাই ৫ টাকা করে ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণি বলেন, আজ আমার একটি আনন্দ ও প্রাপ্তির দিন। এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের জন্য দশটি বাস দিয়েছেন। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গণ। সময় বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে অনুষ্ঠানস্থল। অনুষ্ঠানের উত্তর পাশেই ফুল আর বেলুনে সাজানো দ্বিতল বাসগুলো দেখে শিক্ষার্থীরা বেশ উচ্ছ্বসিত। শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বাসগুলোতে বসে তুলছেন সেলফি। পরে মন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেন।
সিআর/এসএইচ