চট্টগ্রামের সেবা পেয়ে করোনাকে হারালেন ভারতীয় নাগরিক

সীমান্তের ওপারের মানুষ প্রসেনজিৎ চৌধুরী (ছদ্মনাম)। চাকরি করেন চট্টগ্রামের একটি নামি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে। করোনার এই সময়ে অফিসের কাজে বিভিন্ন জায়গায় ছুটোছুটি, নানারকম মানুষের সাথে চলাফেরা করতেন অনেকটা নিয়মিতই। এরমধ্যেই আক্রান্ত হন তিনি করোনাভাইরাসে। চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করানো হয় নগরীর একটি বিশেষায়িত বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে। সেখানে দীর্ঘ ৪৫ দিনের চিকিৎসা শেষে তিনি বর্তমানে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।

জানা গেছে, ৪০ বছর বয়সী ওই ভারতীয় নাগরিক বহুজাতিক একটি কোম্পানির স্টিল ডিভিশনে চাকরি করেন। তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১১ জুন নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালের কোভিড ফ্লোরে ভর্তি হন। এরপর ডাক্তার-নার্সসহ অন্যান্য কর্মীরা শুরু করেন এই বিদেশিকে সুস্থ করার নিরলস চেষ্টা। শুরুতে অক্সিজেনের মাত্রা রীতিমত বিপজ্জনকভাবে ওঠানামা করছিল। এর মধ্যে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়। কয়েকদিন পর রিপোর্ট আসে করোনা পজিটিভ।

এর মধ্যে হঠাৎ ওই বিদেশির অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। তাকে নেওয়া হয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। সেখানে দীর্ঘ ১৫ দিন ডাক্তার ও নার্সদের নিবিড় পরিচর্যায় কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে নেওয়া হয় সাধারণ কেবিনে। সেখানে কয়েকদিন থাকার পর অবশেষে দীর্ঘ ৪৫ দিনের চিকিৎসা শেষে গত ২৪ জুলাই তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।

চট্টগ্রামের সেবা পেয়ে করোনাকে হারালেন ভারতীয় নাগরিক 1

প্রসেনজিৎ চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘জুনের ১১ তারিখে আমি পার্কভিউ হাসপাতালের কোভিড ফ্লোরে ভর্তি হই। শরীরের কন্ডিশন অনেক খারাপ ছিল। বাঁচবো কিনা সেটাও সন্দিহান ছিলাম। এর মধ্যেই ১৫ দিন ছিলাম আইসিইউতে। অবশেষে সৃৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আমি সুস্থ হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরিচর্যা ছিল অবর্ণনীয়। তারা টাইম-টু-টাইম আমার দেখাশোনা করেছেন। নির্দিষ্ট সময়ে ডাক্তার এসে দেখে যেতেন। সময়ে সময়ে নার্সরা এসে ওষুধ দিতেন।’

পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত হয়ে ভারতীয় নাগরিক প্রসেনজিৎ দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে ১৫ দিন ছিলেন আইসিইউতে। প্রথমে সুস্থ হয়ে উঠলেও পরবর্তী তার শারীরিক অবস্থা অবনতিতে বেশ চিন্তিত ছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের মাটিতে একজন বিদেশি ভারতীয় নাগরিককে করোনা রোগমুক্ত করতে পেরে আমরা বেশ আনন্দিত।’

এমএফও/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!