সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০ জন ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০২০ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনীত করেছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রামের দুই ব্যক্তিত্ব— সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. ফয়জুর রহমান ফারুকী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এবার যে ২০ বরেণ্য ব্যক্তি একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন তারা হলেন− ভাষা আন্দোলনে আমিনুল ইসলাম বাদশা (মরণোত্তর), শিল্পকলা সংগীতে বেগম ডালিয়া নওশীন, শঙ্কর রায়, বেগম মিতা হক, নৃত্যে মো. গোলাম মোস্তফা খান, অভিনয়ে এসএম মহসীন, চারুকলায় অধ্যাপক শিল্পী ড. ফরিদা জামান, মুক্তিযুদ্ধে হাজী আক্তার সরদার (মরণোত্তর), আব্দুল জব্বার (মরণোত্তর), ডা. আ. আ. ম. মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর), গবেষণায় ড. জাহাঙ্গীর আলম ও হাফেজ ক্বারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ্, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, অর্থনীতিতে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ভাষা ও সাহিত্যে সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর), ড. নুরুন নবী, বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি, চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. সায়েরা আখতার। এছাড়া বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে এবছর গবেষণায় একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছে।
সফল শিল্প উদ্যোক্তা সুফী মিজানুর রহমানের হাতেই গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠানের একটি— পিএইচপি গ্রুপ। তবে সুফী মিজানুর রহমান সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রায়ই আসেন আলোচনায়। জন্ম নারায়ণগঞ্জে হলেও বেড়ে ওঠা তার চট্টগ্রামেই। স্থায়ীভাবে বসবাসও করেন তিনি বন্দরনগরীতেই।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়ার জন্ম চট্টগ্রামে। তিনি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতিও।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদকপ্রাপ্তদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেবেন।
সিপি