জালিয়াতি/ চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জনসহ দুদকের মামলা ৭জনের বিরুদ্ধে

বেশি মূল্যে যন্ত্রপাতি সরবরাহ

ক্ষমতা অপব্যবহার ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে ভারি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করার দায়ে চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জনসহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদি হয়ে তাদের একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলাটি রেকর্ড করেন দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন।

অভিযুক্তরা হলেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের প্রাক্তন তত্ত্বাবধায়ক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সিভিল সার্জন সরফরাজ খান চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বিনাজুরি কাগতিয়া গ্রামের ডা. ছবিল খানের পুত্র। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আবদুর রউফ। তিনি সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরা গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র। জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো ও সার্জারি) মো. মইনুদ্দিন মজুমদার। তিনি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের সোনাপুর গ্রামের আবদুল মালেক মজুমদারের পুত্র। সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. বিজয় কুমার নাথ। তিনি চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার ঘাটফরহারদবেগ আ/এ ৩৫৮/৩৭৭ আনন্দধারা যতীন কুঠির ভবনে মৃত হরিনাথের পুত্র। বেঙ্গল সাইন্টিফিক এন্ড সার্জিকেল কোম্পানির প্রোপ্রাইটর জাহের উদ্দিন সরকার। তিনি দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়িয়া থানার উত্তর সুজাপুর গ্রামের আবদুস সাত্তার সরকারের পুত্র। মেসার্স আহমদ এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মুন্সি ফারুক হোসেন। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানার কাশিয়ানির গ্রামের মৃত মুন্সি আহমদ হোসেনের পুত্র। এএসএলের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব আহমেদ। তিনি ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার চতুল গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব মোল্ল্যার পুত্র।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে পরস্পর যোগসাজশে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ছাড়াই জালিয়াতির মাধ্যমে মেসার্স ওয়ার্সি সার্জিক্যাল, জেনেটিক ট্রেডিং ও রেলায়েন্স সলিউশন লিমিটেডের ভূয়া প্যাড ও ভূয়া স্বাক্ষর ব্যবহার করে বাজার ধরে অধিক মূল্য এমএসআর (ভারি যন্ত্রপাতি) সরবরাহ করে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা আত্নসাৎ করে দন্ডবিধি ৪০৯, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারায় ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বলেন, ক্ষমতা অপব্যবহার ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পরস্পর যোগসাজশে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ আত্নসাৎ করা হয়। এতে প্রাক্তন চট্টগ্রামের সিভিল সাজর্নসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্তেকালে অন্য কারো জড়িত থাকার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।

মুআ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!