চট্টগ্রামের শেয়ারবাজার/ দ্বিতীয় দিনে সূচকের উত্থান, বেড়েছে লেনদেন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের দ্বিতীয় বড় পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সব ধরনের সূচকেরই উত্থান ঘটেছে। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। তবে বিনিয়োগকারীরা এতেও খুশি নন। তাদের দাবি ভারতের মুম্বাই, পাকিস্তানের করাচি ও চীনের সাংহাইয়ের মতো চট্টগ্রামকেও বাণিজ্যিক রাজধানী ঘোষণা করে এখান থেকেই শেয়ারবাজার পরিচালনা করা হোক।

সোমবার (১০ জুন) দিন শেষে সিএসই সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের (রোববার) চেয়ে ৯৪ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬১৪ পয়েন্টে, যা আগের দিনের চেয়ে শতকরা শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। সিএসই সাধারণ মূল্যসূচক সিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৬৩ পয়েন্টে; যা আগের দিনের চেয়ে শতকরা শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ২৩ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৩৯৭ পয়েন্টে; যা আগের দিনে চেয়ে শতকরা শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি।

সোমবার দিন শেষে লেনদেন হয়েছে মোট ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩টি শেয়ার। যার আর্থিক মূল্য মোট ৭৭ কোটি ১২ লাখ ২২ হাজার ৬৫৭ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৫ কোটি ৫৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৯২ টাকা বেশি। রোববার লেনদেন হয়েছিল মোট ৪১ কোটি ৫৪ লাখ ৯৭ হাজার ১৬৫ টাকার ৫৩ লাখ ৮২ হাজার ২২টি শেয়ার। দিনভর লেনদেন হয়েছে ২৪৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। মধ্যে দর বেড়েছে ১৫১টির, কমেছে ৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির।

আজ সোমবার লেনদেন শেষে প্রিমিয়ার সিমেন্টের প্রতি শেয়ার ৫ টাকা ৯০ পয়সা; সাফকো স্পিনিং মিলসের প্রতি শেয়ার ১ টাকা ৬০ পয়সা; মোজাফফর হোসাইন স্পিনিং মিলের প্রতি শেয়ার ১ টাকা ১০ পয়সা; প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলের প্রতি শেয়ার ২ টাকা ৬০ পয়সা; আরামিটের প্রতি শেয়ার ১ টাকা ৮০ পয়সা দর বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যদিকে, ভিএফএস থ্রেড ডায়িংয়ের প্রতি শেয়ার ৫ টাকা ৬০ পয়সা; এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতি শেয়ার ৮০ পয়সা; ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের প্রতি শেয়ার ৪০ পয়সা; ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্কের প্রতি শেয়ার ১ টাকা ৮০ পয়সা, ইস্টার্ন কেবলের প্রতি শেয়ার ১৯ টাকা ৮০ পয়সা করে দর কমেছে।

সোমবার সিএসইতে ইতিবাচক ধারা বইলেও এতে খুশি নন বিনিয়োগকারীরা। তাদের বক্তব্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তুলনায় সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ খুবই কম।

চিটাগাং ইনভেস্টরস ফোরামের সভাপতি কবির আহমদ চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সিএসইতে আজকের (সোমবার) সূচক ও লেনদেন যা বেড়েছে, তা খুবই সামান্য। এটা হওয়া উচিত ১৭৭ কোটি। চট্টগ্রামের ৫৮ শতাংশ ব্যবসায়ী ডিএসএইর মাধ্যমে ব্যবসায় করে। আমাদের দাবি, ডিএসই ও সিএসইকে সমন্বিত করে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান করা। অথবা ভারতের বোম্বে, পাকিস্তানের করাচি ও চীনের সাংহাইয়ে মতো চট্টগ্রামকেও বাণিজ্যিক রাজধানী ঘোষণা করে এখান থেকেই শেয়ার বাজার পরিচালনা করা। তাহলেও শেয়ারের দাম বাড়বে।

উল্লেখ্য, সোমবার ডিএসইতে মোট ১৩ কোটি ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৪২৪টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে; যার আর্থিক মূল্য ৪৮৪ কোটি ৮৯ লাখ ২২ হাজার টাকা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!