চট্টগ্রামের শেয়ারবাজারে ধস, বিনিয়োগকারীরা হতাশ

বছরের শুরুতেই সূচকের ভয়াবহ পতনে পড়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। লেনদেন ও সূচকের অব্যাহত অবনতিতে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

জানা গেছে, ২০২০ সালের শুরু থেকেই টানা দরপতনের মধ্য দিয়ে চলছে দেশের এ পুঁজিবাজার। চলছে লেনদেন ও সূচকের অব্যাহত অবনতি। এর ফলে দুরবস্থায় পড়েছে দেশের দ্বিতীয় প্রধান পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। এতে বিনিয়োগকারী ও স্টেক হোল্ডারসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও হতাশা বিরাজ করছে। তাদের অভিযোগ, সিএসই ও কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলা শেয়ারবাজারের উন্নয়নে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চট্টগ্রামের বিনিয়োগকারীরা।

সর্বশেষ মঙ্গলবারও (১৪ জানুয়ারি) পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চট্টগ্রামের শেয়ারবাজার। সিএসইতে লেনদেন কমার সাথে সাথে সব ধরনের সূচকের পতন হয়েছে। একইসঙ্গে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে।

বুধবারের সিএসই বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিএসই প্রধান বা সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৬৯ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২ হাজার ৩০০.২৫ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই সাধারণ সূচক সিএসসিএক্স ১৬৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৭ হাজার ৪৪৯.৪৩ পয়েন্টে; সিএসই-৩০ ইনডেক্স ২২১.০৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৩৯৬ পয়েন্টে; সিএসই-৫০ ইনডেক্স ১৭.৯৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৯২.১৪ পয়েন্টে এবং সিএসই শরীয়াহ ইনডেক্স ২০ দশমিক ৯১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৭৭৮.৫৪ পয়েন্টে।

সিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে মাত্র ৯ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৮ টাকার শেয়ার। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৩ কোটি ৩৫ লাখ ৩ হাজার ৭৫৮ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৫ হাজার ৯৬০ টাকা।

মঙ্গলবার সিএসইতে ২৪৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২০৩ টি কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে; বেড়েছে মাত্র ২১টি কোম্পানির শেয়ারের দর এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির দাম।

ইনভেস্টর ফোরাম অব চট্টগ্রামের যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ কাদের চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে টানা দরপতন চলছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সিএসই, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কোন ভূমিকা রাখছে না। ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের ভূমিকাও সন্তোষজনক নয়। শেয়ারবাজারে তাদের ভূমিকা নিয়ে আমাদের সংশয় রয়েছে। এ অবস্থায় শেয়ারবাজারের অব্যাহত দরপতন ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক, কমিশন ও অর্থমন্ত্রীর ভূমিকা আশা করছি আমরা।’

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) হেড অব এডমিন করিমুল্লাহ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বছরের শুরু তাই অনেক কোম্পানি শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করছেন না। ধীরে ধীরে পুঁজিবাজারের মন্দাভাবটা কেটে যাবে। আমরা ব্যবসায়ীদের পুঁজিবাজারমূখী করার জন্য প্রতিমাসেই বৈঠক করছি। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছি।’

এএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!