চট্টগ্রামের রিহ্যাব মেলায় ১০৮ কোটি টাকার বুকিং বাণিজ্য

রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) চট্টগ্রামের মেলা থেকে ১০৮ কোটি টাকার বুকিং বাণিজ্য হয়েছে। তবে এবারের মেলায় ফ্ল্যাট, কর্মাশিয়াল স্পেস ও প্লট বিক্রির লক্ষমাত্রা ছিল ১৫০ কোটি টাকা।

রোববার মেলা শেষে সমাপনি অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান রিহ্যাব ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী।

নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে রিহ্যাব ‘স্বপ্নীল আবাসন সবুজ দেশ, লাল সবুজের বাংলাদেশ’ শিরোনামে চার দিনব্যাপী রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার আয়োজন করা হয়।

এতে গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ২টি প্রতিষ্ঠান, কো-স্পন্সর হিসেবে ১৭টি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৬টি, বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস প্রতিষ্ঠান ৫টিসহ মোট ৪৮টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবারের ফেয়ারের এই ৪ দিনে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ ক্রেতা-দর্শনার্থী ফেয়ার প্রাঙ্গণ ভিজিট করেছেন। ফেয়ারে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের জন্য যে সকল অফার নিয়ে এসেছেন, মেলা চলাকালীন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় ফেয়ার শেষ হওয়ার পরেও আগামী ৭ দিন কোম্পানির নিজস্ব অফিসে সে সকল সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকবে।

রিহ্যাব চট্টগ্রামের প্রেসিডেন্ট আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী বলেন, ‘রিহ্যাব ফেয়ারে ১০৮ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। আগামী সাতদিন কোম্পানির নিজস্ব অফিসে মেলার সকল সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব আয়, কর্মসংস্থান, রড, সিমেন্ট, টাইলসসহ যেমন বিভিন্ন প্রকার লিংকেজ শিল্প প্রসারের মাধ্যমে সমগ্র নির্মাণখাত জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখে আসছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সমগ্র নির্মাণখাতের অবদান প্রায় ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশের আবাসন সংশ্লিষ্ট শিল্প শুধু আবাসনই সরবরাহ করছে না, একইসঙ্গে ৪০ লাখ শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল ২ কোটি লোকের অন্নের যোগান দিচ্ছে। আবাসন খাত নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের সৃষ্টি করছে, যা প্রকারান্তরে দেশের উন্নয়নে শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে।’

এএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!