চট্টগ্রামের রাস্তায় ছিনতাইয়ে সাত নারীর দল, একা মেয়েরাই টার্গেট

তারা নিজেরা নারী, আবার তাদের টার্গেটও থাকে নারীই। চট্টগ্রাম নগরীর ব্যস্ত সড়কগুলোতে সুবিধামতো জায়গায় অবস্থান নেয় তারা। সাধারণত সড়কে একাকী চলাফেরা নারীদেরই তারা টার্গেট করে। সেই টার্গেটকে আগে থেকেই অনুসরণ করতে থাকে তারা। মুহূর্তেই কৃত্রিম জটলা তৈরি করে চোখের পলকে ছিনিয়ে নেয় সর্বস্ব।

সবকিছু এতো নিখুঁতভাবে হয় যে, ছিনতাইয়ের শিকার নারীরাও ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেন না— কি থেকে কী হয়ে যাচ্ছে! সংঘবদ্ধ এই নারী ছিনতাইকারী দলের হাতে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে অনেকেই।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আড়াই মাস বয়সী শিশুকে টিকা দিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছিলেন খাদিজা আক্তার নামের এক নারী। পৌনে একটার দিকে আন্দরকিল্লার ‘মল টোয়েন্টিফোর’ শপিং কমপ্লেক্সের সামনে আইল্যান্ডে পাশে পৌঁছাতেই সাত নারী তাকে পথচারীর বেশে ঘিরে ধরেন। এর একপর্যায়ে চোখের পলকে টান মেরে খাদিজা আক্তারের হাতব্যাগটি নিয়ে যায় তারা।

খাদিজা আক্তারের অভিযোগ অনুযায়ী, ওই হাতব্যাগে একটি স্বর্ণের চেইন, স্বর্ণের একটি আংটি ও কানের একজোড়া দুল ছাড়াও ছিল নগদ আড়াই হাজার টাকা। ছিনতাইকারী ওই সাত নারী ঘটনার পর পর ‘মল টোয়েন্টিফোর’ শপিং কমপ্লেক্সের দিকে চলে যেতে থাকলে খাদিজা চিৎকার দেন। এ সময় পথচারীরা ছাড়াও টহল পুলিশ এগিয়ে এসে দুপুর আড়াইটার দিকে ছিনতাইকারী ওই সাত নারীকেই ধরে ফেলতে সক্ষম হয়। পরে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণের চেইন, আংটি ও কানের দুলসহ ছিনিয়ে নেওয়া হাতব্যাগটি উদ্ধার করা হয়।

আটক হওয়ার সাত নারী ছিনতাইকারীর মধ্যে চারজনের বাড়িই কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। এরা হলেন রহিদা বেগম (২৫), ববিতা বেগম (৩৫), পাপিয়া (৪০) এবং সাথী আক্তার শান্তা (২৮)। অন্যদিকে অপর তিন নারী ছিনতাইকারীর বাড়ি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে। এরা হলেন রিমা আকতার (২৫), বিলকিস বেগম (২৫) এবং রুমা আকতার (২০)।

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানিয়েছেন, আটক হওয়া সাত নারী ছিনতাইকারীই সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। সড়কে একাকী চলাফেরা নারীদেরই তারা সাধারণত টার্গেট করে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!