চট্টগ্রামের যে ১৫ জায়গায় মিলল ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার লার্ভা

চট্টগ্রাম নগরীর জনবহুল হালিশহর, বাকলিয়া, পাহাড়তলী ও চান্দগাঁওসহ ১৫টি সুনির্দিষ্ট জায়গায় মিলেছে শতভাগ এডিস মশার লার্ভা। এই এডিস মশা থেকেই প্রাণঘাতী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন চট্টগ্রাম নগরীর অনেক মানুষ। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত অন্তত দুজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।

চট্টগ্রামের ৫৭টি জায়গা থেকে সংগ্রহ করা মশার নমুনার ১৫টি নমুনাতেই শতভাগ এডিস মশার লার্ভা পেয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একদল গবেষক। গবেষকদলটি এক মাস ধরে চট্টগ্রাম নগর ও হাটহাজারীর ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করে এই নমুনা সংগ্রহ করে।

চট্টগ্রাম নগরীর এই ১৫টি জায়গা হল—
হালিশহর এ-ব্লক, ২৬ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী এলাকার ফইল্যাতলী বাজার, দক্ষিণ কাট্টলী সাগরিকার রূপালী আবাসিক এলাকা, সাগরিকা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ার রোডের জেলে পাড়া, পাহাড়তলী সিডিএ মার্কেটের দুলালাবাদ, সেগুনবাগান এলাকার ১৩ নং রেলওয়ে কলোনি, পাহাড়তলী আমবাগান এলাকার বাস্তুহারা কলোনী, সদরঘাট পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকার মাঝিরঘাট সড়ক, সদরঘাট থানাধীন কাস্টম রেলওয়ে রেলওয়ে কলোনি, পশ্চিম বাকলিয়ার চাক্তাই প্রাইমারি স্কুল, চকবাজার ডিসি রোডের তুষার কলোনি ও বাদশা মিয়া সওদাগরের বাড়ি, কল্পলোক আবাসিক এলাকার এক নম্বর সড়ক (ই-৯৬ এর পাশে), চাঁন্দগাওয়ের ফরিদার পাড়া ও চাঁন্দগাও আবাসিক এলাকার মসজিদের আশপাশ।

চট্টগ্রামের যে ১৫ জায়গায় মিলল ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার লার্ভা 1

জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রমে ব্যবহৃত ঔষধের কার্যকারিতা যাচাইয়ে সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে এই গবেষণা পরিচালিত হয়। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৬ জন শিক্ষক ও বেশ কযেকজন শিক্ষার্থী যুক্ত ছিলেন।

গবেষক দলের আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, সিটি কর্পোরেশনের বাজেটে আমরা ৫ জুলাই থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করি। টানা ২৫ দিন ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করে নগরীর ৫১টি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬টি স্থান থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করা হয়। এতে ১৫টি স্পটে মিলেছে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস।

বিভিন্ন এলাকার বাড়ির ফুলের টব, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের পাত্র, দোকানের ব্যাটারির সেল ও টায়ার এবং রাস্তার ধারে পাইপে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মিলেছে এডিস মশার এসব লার্ভার উপস্থিতি। এসব এলাকা থেকে সংগৃহীত লার্ভার শতভাগই ছিল এডিসের।

গবেষক দলের অন্য সদস্যরা হলেন রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. তাপসী ঘোষ রায়, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল (সদস্য সচিব), ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এইচ. এম. আবদুল্লাহ আল মাসুদ।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!