চট্টগ্রামের মোশাররফ রাষ্ট্রপতি পদের আলোচনায় শেষ তিনে

বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদে শেষ মুহূর্তের আলোচনায়ও আছেন চট্টগ্রাম-১ আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। আগামী সপ্তাহেই রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীই দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন।

শুরু থেকে রাষ্ট্রপতি পদে ১০ জনেরও বেশি নাম আলোচনায় ছিল। পরে সেটি পাঁচজনের মধ্যে সীমিত হয়ে আসে। এই পাঁচজন হলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক এবং ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই তালিকাও ছোট করে নিয়ে এসেছেন। বর্তমানে মাত্র তিনজন এই তালিকায় আছেন। এরা হলেন মসিউর রহমান, শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

সূত্রমতে, এই তিনজনের যে কোনো একজনই শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পেতে পারেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান।

তবে সক্রিয় কোনো রাজনীতিবিদ যদি রাষ্ট্রপতি পদের বিবেচনায় থাকেন, তাহলে সেক্ষেত্রে শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মধ্যে যে কেউ দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে পারেন।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রের ধারণা, গত ২৪ ডিসেম্বর গঠিত আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সভাপতিমণ্ডলীতে মোশাররফ হোসেনের নাম সভাপতির পরেই রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জ্যেষ্ঠ এই নেতাকে রাষ্ট্রপতির সম্মান দেওয়া হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, (১) রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে এ পদ শূন্য হলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী এপ্রিল মাসে। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল প্রথম দফায় রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসার পর দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি ২১তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি।

জানা গেছে, আবদুল হামিদের মেয়াদ যেহেতু আগামী এপ্রিলেই শেষ হচ্ছে, সেই হিসেবে আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে এই নির্বাচন করতে হবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।

সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন জাতীয় সংসদ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে। সংসদে যেহেতু আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, ফলে দলটি যাকে মনোনয়ন দেবে, তিনিই রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসবেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!