চট্টগ্রামের মাইজভাণ্ডারে ভক্তের মিলনমেলা

মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম হযরত মাওলানা শাহসূফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) ১১৭তম বার্ষিক ওরশ শরীফে বসছে ভক্তের মিলনমেলা।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ভক্তরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাইজভাণ্ডারে জিকির আজকার ও জেয়ারতে মশগুল রয়েছেন। তিনদিনব্যাপী ওরশের মূল দিবস ছিল আজ।

দুই-তিনদিন আগে থেকে দেশ-বিদেশের লাখো ভক্তের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে মাইজভাণ্ডার শরীফ। মাইজভাণ্ডারের পুরো এলাকাজুড়ে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে।

এর আগে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় মাজার শরীফে গিলাফ চড়ানোর মাধ্যমে ওরশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

মঙ্গলবার রাত ১২টার পর মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীনরা আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করবেন।

মাইজভাণ্ডারের ওরশ উপলক্ষে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। র্যা ব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

মঞ্জিল সূত্রে জানা গেছে, মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের প্রধান ওরশ ১০ মাঘ উপলক্ষে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিল, দরবারে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিল, গাউছিয়া হক মঞ্জিল, রহমানীয়া মঞ্জিল, মঈনীয়া মঞ্জিল কোরআন খতম, খতমে গাউছিয়া, খতমে খাজেগান, মিলাদ মাহফিল, হালকায়ে জিকির, ছেমা মাহফিল, বিশেষ মুনাজাত ও সকল মাজারগুলোতে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শাহান শাহ জিয়াউল হক মাইভাণ্ডারী ট্রাস্ট এককভাবে ১০ দিনের বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষক সমাবেশ, মহিলা সমাবেশ, দুস্থদের মাঝে সহায়তা প্রদান, র্যা লি ও এতিম-দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ।

গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলের সাজ্জানশীন ছৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর ওরশ হচ্ছে অলি ও ভক্তের মিলনমেলা।’

গাউছিয়া আহমদীয়া মঞ্জিলের (শাহ এমদাদীয়া) নায়েবে সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বার্মা, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেও ভক্তরা মাইজভাণ্ডার শরীফে আসবেন। আমরা পুরো ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে ওরশ শরীফ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ ইবনে আনোয়ার বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় করে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে, র্যা ব-বিজিবি-ডিবি পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। ওরশে সার্কাস-ভিডিও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারণের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।’

ফটিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রহমান সানি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য নাজিরহাট নতুন রাস্তার মাথায় ফটিকছড়ি সদরে ও নানুপুর লায়লা-কবির কলেজ মাঠে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পানি ও পর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সকল প্রকার যোগাযোগের জন্য একটি তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে।’

এএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!