চট্টগ্রামের ভোটে পোলিং এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছে না বিএনপি, দরকার ৫ হাজার লোক
হুমকি ও ধরপাকড়ে এলাকাছাড়া নেতা-কর্মীরা
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছে না বিএনপি। দলটির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের হুমকি, মামলা-হামলা ও হয়রানির কারণে নেতাকর্মীরা এলাকাছাড়া। গ্রেপ্তার আতংক ছড়িয়ে পড়ায় পোলিং এজেন্ট সংকটে পড়েছে দলটি।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৪১ ওয়ার্ডে মোট ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রে ভোটার চিহ্নিত করার জন্য প্রায় ৫ হাজার পোলিং এজেন্ট দরকার হলেও গ্রেপ্তার, মামলা ও হয়রানির কারণে পোলিং এজেন্ট সংকটে ভুগছে বিএনপি।
দলটির নেতাদের অভিযোগ, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে ভোটের আমেজ ছড়িয়ে পড়লেও নির্বাচনের তিন দিন আগে ২৪ জানুয়ারি দলটির ৮৯ জন নেতাকর্মী আটকের পর আতংক ছড়িয়ে পড়েছে দলটিতে। নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে গণগ্রেপ্তারের কারণে তাদের দলের কর্মীরা এখন এলাকাছাড়া।
জানা গেছে, বিএনপির অনেক নেতাকর্মী এখন এলাকা ছেড়ে আত্মীয়স্বজনের বাসায় আত্মগোপন করেছেন। নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে দিনে কয়েকবার সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তাদের নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়ার হুমকিসহ নানা ধরণের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে মহানগর বিএনপি।
এছাড়া সরকারদলীয় নেতাকর্মীরাও বিএনপি প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে হুমকি দিয়ে আসছে। নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, প্রশাসনের লোকজন তাদের নেতাকর্মীদের গতিবিধি অনুসরণও বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির ভয়ে দলটির কর্মীরা পোলিং এজেন্ট হওয়াসহ নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণে রাজি হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে পোলিং এজেন্ট হিসেবে যাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তাদেরকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে নির্বাচনের দুদিন আগে পোলিং এজেন্ট সংকট চিন্তায় ফেলে দিয়েছে দলটির নেতাকর্মীদের।
দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, পোলিং এজেন্ট সংকট কাটাতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত তারা মাঠে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ‘নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে দলীয় নেতার্মীদের গণ গ্রেপ্তার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার দলীয় নেতাদের হুমকি-হয়রানির কারণে আমাদের দলের কর্মীরা পোলিং এজেন্ট হতে আগ্রহ পাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘ঘণ্টায় ঘণ্টায় সরকার দলীয় লোক ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনির সদস্যরা সাদা পোশাকে আমাদের নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। সরকার আমাদের হাত পা বেঁধে রেখেছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা মাঠ ছাড়ছি না। আমারা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
কেএস/সিপি