চট্টগ্রামের ব্রিজে কিশোরগঞ্জের নারীর লাশ, ধর্ষণের ঘটনা কিনা দেখবে পুলিশ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের ধুমঘাট ব্রিজ এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা নারীর লাশের পরিচয় জানতে সক্ষম হয়েছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী ওই নারী কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে তারা। ওই নারী মৃত্যুর আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না সেটা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

রবিবার(১৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এক্ষুণি ওই নারীর পরিচয় প্রকাশ করতে অনাগ্রহ জানিয়েছেন তিনি।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) মিরসরাই ধুমঘাট রেল ব্রিজ থেকে উদ্ধার হওয়া নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা। তার পরিবারের সদস্যদের সাথে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। আমরা তাদের আসতে বলেছি। তারা আসলে কনফার্ম হয়ে আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে এর আগে জানিয়েছিলেন, ‘ওই লাশের হাতের আঙুলের ছাপ জাতীয় পরিচয়পত্রের আঙুলের সঙ্গে মিলে গেছে। জাতীয় পরিচয়পত্রে ওই নারীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে রাজিয়া খাতুন, পিতা আমির উদ্দিন, মাতা জরিনা খাতুন। গ্রাম কুমারিয়াকান্দি, জেলা কিশোরগঞ্জ।’

এর মধ্যে লাশটি ময়নাতদন্ত শেষে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি নাজিম।

গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের উপজেলার ধুমঘাট ব্রিজ থেকে অজ্ঞাত ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মহিলাটির লাশের মাথায় ও হাতে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও এটি রেলে কাটা পড়েনি। ফলে অনেকেই ধারণা করছেন এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়। বরং আগে থেকে হত্যা করে তার লাশ এখানে ফেলে যাওয়া সম্ভাবনা নিয়েও আলাপ আছে স্থানীয় পর্যায়ে।

এছাড়া ওই নারী মৃত্যুর আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না সেটা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘এটা নিয়ে এক্ষুণি আমরা কোন মন্তব্য করতে রাজি নই। ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বলা যাবে। তাছাড়া তার পরিবারের সদস্যদেরও খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসুক। তদন্ত করে এই বিষয়ে জানানো যাবে।’

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!