চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীকে ধরতে আদালতের নির্দেশ, ৩৬৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ

দুই বেসরকারি ব্যাংকের ৩৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা পাঁচ মামলায় মো. নূর-উন-নবীকে নামের এক ব্যবসায়ীকে শ্যোন এরেস্ট দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফ উদ্দিনের আদালত এই আদেশ দেন।

আসামি নূর-উন-নবীর বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। তিনি নগরীর ডবলমুরিংয়ের মেসার্স আকতার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী। এছাড়া মেসার্স বলাকা ট্রেডার্স নামেও তার আরেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের হালিশহর ও আগ্রাবাদ শাখা এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখা নূর-উন-নবীর বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি চেক প্রতারণা মামলা দায়ের করে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি মো. নুর-উন নবীর বিরুদ্ধে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড হালিশহর ও আগ্রাবাদ শাখা এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখার ৩৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার পৃথক পাঁচটি চেক প্রতারণার অভিযোগে মামলা করে।মামলার পর আত্মগোপনে চলে যান নূর-উন-নবী।

সম্প্রতি ঢাকার গুলশান থানার এক ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় নূর-উন-নবীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে এই বিষয়ে আদালত অবগত হলে তাকে অর্থ আত্মসাতের মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো নির্দেশ দেন। এছাড়া মামলার শুনানির পর ১৮ জানুয়ারি আসামিকে হাজির করার নির্দেশও দেন আদালত।

এই বিষয়ে বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নূর-উন-নবী গুলশান থানায় গ্রেপ্তার হন। এ খবর পেয়ে আমরা তাকে চট্টগ্রাম আদালতে পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করি। আদালত তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া আসামিকে ১৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!