চট্টগ্রামের বে-টার্মিনাল প্রধানমন্ত্রীরই স্বপ্ন, জানালেন মূখ্য সচিব

প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত নির্দেশনা দিয়েছেন। দ্রুত বে-টার্মিনাল বাস্তবায়ন হচ্ছে। এটি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অন্যতম বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প বে টার্মিনালের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেছেন বলেই বে-টার্মিনাল বাস্তবায়ন হচ্ছে। রিং রোড বাস্তবায়নসহ বেশ কিছু উন্নয়নের ফলে পুরো এলাকার চিত্র পাল্টে গেছে। এ রকম বড় বড় স্বপ্ন আগে কখনো কেউ দেখেনি।’

বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘বে-টার্মিনাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা পেয়ে গেছি। এখন দ্রুততম সময়ে কনসালট্যান্ট নিয়োগ করে আমরা প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব।’

প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের পর বে-টার্মিনালের হাইড্রোগ্রাফিক তথ্য, জমি অধিগ্রহণ ও ডিটেইল ডিজাইন তুলে ধরেন চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার এম. আরিফুর রহমান ও উপ-ব্যবস্থাপক (ভূমি) জিল্লুর রহমান ও নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল আলম।

এ সময় জানানো হয়, বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ হলেও বে টার্মিনালের প্রকল্প এলাকায় এ ধরণের ঝুঁকি নেই। যা ফিজিবিলিটি স্টাডিতে উঠে এসেছে। বন্দরের বর্তমান জেটিতে জাহাজ ভিড়ানো জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করলেও বে টার্মিনালে ২৪ ঘণ্টা এবং চ্যানেলে একসাথে চারটি জাহাজ পাশাপাশি চলাচল করতে পারবে।

তিনটি টার্মিনালের মধ্যে মাল্টিপারপাস টার্মিনালের বিনিয়োগ সাড়ে আট বছরে এবং কনটেইনার টার্মিনালের বিনিয়োগ সাড়ে এগারো বছরে উঠে আসবে। এছাড়া ভবিষ্যৎ চাহিদাকে মাথায় রেখে অন্যান্য সকল সুবিধা ছাড়াও ট্রাক টার্মিনাল ও আলাদা ডেলিভারি ইয়ার্ড নির্মাণ পরিকল্পনায় রয়েছে বলে জানানো হয়।

পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব সুলতান আবদুল হামিদ, যুগ্ম সচিব রফিকুল ইসলাম খান, উপসচিব মো. মনিরুজ্জামান মিয়া ও সালাউদ্দিন আহমেদ।

এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর এম. নিয়ামুল হাসান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, বন্দরের উপ-সংরক্ষক ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্ণেল মোস্তফা আরিফ-উর রহমান খান, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, পরিচালক এস এম সাইফুল ইসলাম ও সচিব ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

এএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!