চট্টগ্রামের নাঈম আবারও জ্বলে উঠতে চান ঘরের মাঠে

বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের প্রথম দিন

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ঘরের ছেলে নাঈম হাসানের। এই মাঠেই তো রয়েছে সুখস্মৃতি। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই গত ডিসেম্বরে অভিষেক। আর শুরুতেই সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৫ উইকেট পাওয়ার রেকর্ড গড়েন নাঈম! অবশ্য প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে দেখা মেলেনি উইকেটের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ঢাকার মিরপুরে অবশ্য দেখা যায়নি চট্টগ্রামের নাঈমকে। দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন মাত্র একটি উইকেট।

এরপর দলের সাথে থাকলেও আর সুযোগ মেলেনি মূল একাদশে। সেটির মূল কারণ অবশ্য পরিবেশ পরিস্থিতি আর উইকেট। ঢাকা টেস্টের পর বাংলাদেশের সফর ছিল নিউজিল্যান্ডে। সেখানে সন্ত্রাসী আক্রমণের পর সিরিজ অসমাপ্ত রেখেই দেশে ফিরে আসে বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডে মেহেদী মিরাজ অটো চয়েস থাকায় সুযোগ হয়নি নাঈমের। চট্টগ্রামে নিশ্চয় আবারও বল হাতে দেখা যাবে নাঈমকে।

চট্টগ্রামের তারকা খেলোয়াড় তামিম ইকবাল অফ ফর্ম থেকে মুক্তির জন্য ছুটিতে আছেন। তিনি না থাকায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে চট্টগ্রামের একমাত্র প্রতিনিধি থাকছেন নাঈম। অবশ্য ব্যাপারটায় রোমাঞ্চিত নন এই অলরাউন্ডার। তবে তিনি খুশি।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের প্রথমদিনের অনুশীলনে বেশ সপ্রতিভ ছিলেন ঘরের ছেলে নাঈম
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের প্রথমদিনের অনুশীলনে বেশ সপ্রতিভ ছিলেন ঘরের ছেলে নাঈম

চট্টগ্রামে অনুশীলন শেষে সোমবার সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে নাঈম বলছিলেন, ‘দেখুন, তামিম ভাই রেস্ট নিচ্ছে, ছুটি নিয়েছেন। উনি দলেই আছেন। চট্টগ্রামের ছেলে বলে ওইরকম কিছু হয় না। তবে কিছুটা ভালো লাগে।’ বন্দরনগরীতে অজস্র স্মৃতি নাঈমের। জানাচ্ছিলেন, ‘আমি ব্রাদার্স অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করতাম মুমিন স্যারের কাছে। জেলা দলে খেলে ডিভিশনে ডাক পেলাম। পরের বছর আবার ডিভিশন খেললাম। এরপর অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭ এভাবে উঠে এসেছি।’

মাত্র দুটি টেস্ট খেলা এই স্পিনারের আত্মবিশ্বাসেরও কমতি নেই। জানালেন, ‘যখন উইকেট পাই, রান করি তখন তো অবশ্যই আত্মবিশ্বাসটা বেশি থাকে। ওভার কনফিডেন্স না নরমালই থাকি। প্রতিদিনই নতুন করে শুরু করতে হয়, আগের দিনের আত্মবিশ্বাসটা থাকে তবে ওভার কনফিডেন্স নয়।’

এবার আফগান মিশন। এনিয়ে নাঈম বলছিলেন, ‘কোনো পরিকল্পনা নেই। আমাদের খেলার আগে তো বলে দেয় কিভাবে কি করতে হবে। ঐ প্রসেসটা অনুসরণ করে খেলতে হয়। ক্রিকেটে আসলে তিন বিভাগই গুরুত্বপূর্ণ; বোলিং, ফিল্ডিং, ব্যাটিং তিনটাই জরুরি। কোনোটাতে ছাড় দেয়া যাবে না।’

অনুশীলনে জাতীয় দলের সতীর্থদের বিপক্ষে বল করাটা এগিয়ে দিয়েছে তাকে। বিশেষ করে মুশফিকুর রহিম আর সাকিব আল হাসানরা স্পিন ভাল খেলেন। তাদের বিপক্ষে বোলিং অনুশীলনে সাহায্য করেছে নাঈমকে। এবার সেই ধারাবাহিকতটা ধরে রেখেই ঘূর্ণি যাদু দেখাতে চান চট্টগ্রাম টেস্টে। নাঈম হাসান চট্টগ্রামে জ্বলে উঠা মানেই তো বাংলাদেশের সাফল্য। চট্টগ্রামবাসীর সাথে সারাদেশ অপেক্ষায় থাকবে নাঈমদের জ্বলে উঠার।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!