চট্টগ্রামের দেড় লাখ শিক্ষার্থীর এসএসসি শুরু আজ, সারা দেশে ২০ লাখ

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে। প্রতিদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হবে, দুপুর ১টায় শেষ হবে। এবার অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৩ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ২৩ হাজার ৪১৬ জন।

এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১৯৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯০ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এ সংখ্যা গতবার ছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৬৭ জন। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার অংশ নেওয়া এদিকে এবারও ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী পরীক্ষার্থী বেশি। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬৫ হাজার ৮০৫ জন এবং ছাত্রী ৭৮ হাজার ২৮৫ জন।

মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় এবার ১১৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১ লাখ ৫৭৬ জন পরীক্ষার্থী। যা গতবার ছিল ১ লাখ ৪ হাজার ৩১০ জন। কক্সবাজার জেলায় মোট ২৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২১ হাজার ৫৫ জন পরীক্ষার্থী। যা গত বছর ছিল ২১ হাজার ৩৫০ জন। রাঙামাটি জেলায় ১৯ টি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৮ হাজার ৮০৮ জন। যা গত বার ছিল ৯ হাজার ২৭ জন। খাগড়াছড়ির ২২টি কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৯ হাজার ৯৭ জন পরীক্ষার্থী। যা গত বছর ছিল ১০ হাজার ৭২০ জন। বান্দরবানের ১২টি কেন্দ্র থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৪ হাজার ৫৫৪ জন। যা গত বছর ছিল ৪ হাজার ২৮২ জন।

২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, খেলাধুলা ও ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে সরবরাহ করবে। কেন্দ্র ওই নম্বর ব্যবহারিক নম্বরের সঙ্গে যোগ করে অনলাইনের মাধ্যমে বোর্ডে পাঠাবে। বোর্ড ফল তৈরি করবে।

এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সব শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করে নিজ নিজ আসনে বসতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্র সচিবকে প্রশ্ন সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না। ছবি তোলা যায় না— এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন কেন্দ্র সচিব।

বরাবরের মতো ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের বৃহত্তম এই পাবলিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সরস্বতী পূজা ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে নেওয়া হয়। পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী ৩ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হবে ৫ মার্চ।

এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি
সূচি অনুযায়ী প্রথম দিন ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০টায় বাংলা প্রথমপত্র, ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলা দ্বিতীয়পত্র, ৬ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি প্রথমপত্র, ৯ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র, ১১ ফেব্রুয়ারি গণিত, ১২ ফেব্রুয়ারি তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি, ১৩ ফেব্রুয়ারি গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষি, সংগীত, আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

১৫ ফেব্রুয়ারি ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা ও খ্রিষ্ট ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

১৭ ফেব্রুয়ারি পদার্থ বিজ্ঞান, বাংলদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, ১৮ ফেব্রুয়ারি ভূগোল ও পরিবেশ, ২০ ফেব্রুয়ারি রসায়ন, পৌরবিজ্ঞান ও নাগরিকতা এবং ব্যবসায় উদ্যোগ, ২২ ফেব্রুয়ারি হিসাববিজ্ঞান, ২৩ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত, ২৪ ফেব্রুয়ারি জীববিজ্ঞান ও অর্থনীতি, ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচিতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

দাখিল পরীক্ষার সূচি
৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রথম দিন কোরআন মাজিদ ও তাজবিদ।

৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার হাদিস শরিফ, ৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) আরবি প্রথমপত্র, ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার আরবি দ্বিতীয়পত্র, ১১ ফেব্রুয়ারি গণিত, ১৩ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি প্রথমপত্র, ১৫ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র, ১৬ ফেব্রুয়ারি আকাইদ ও ফিকহ্, ১৭ ফেব্রুয়ারি শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা (২০১৬-২০১৭ সেশন), বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা।

১৯ ফেব্রুয়ারি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলা প্রথমপত্র, ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলা দ্বিতীয়পত্র।

২৩ ফেব্রুয়ারি পৌরনীতি ও নাগরিকতা, কৃষিশিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, মানতিক, উর্দু, ফারসি।

২৫ ফেব্রুয়ারি ইসলামের ইতিহাস ও পদার্থ বিজ্ঞান, ২৭ ফেব্রুয়ারি রসায়ন, তাজবিদ নসর ও নজম (মুজাব্বিদ গ্রুপ) ও তাজবিদ (হিলফুল কোরআন গ্রুপ), ২৯ ফেব্রুয়ারি উচ্চতর গণিত, ১ মার্চ জীববিজ্ঞান।

ব্যবহারিক পরীক্ষা ৮ মার্চ থেকে ১১ মার্চ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড
প্রথম দিন সোমবার ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলা (ভোকেশনাল), ৬ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি, ৯ ফেব্রুয়ারি গণিত, ১১ ফেব্রুয়ারি পদার্থ বিজ্ঞান, ১৩ ফেব্রুয়ারি রসায়ন, ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, কোরআন মজিদ ও তাজবিদ, ১৭ ফেব্রুয়ারি ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হাদিস শরিফ ও ফিকাহ, ১৮ ফেব্রুয়ারি হাদিস শরিফ, ২০ ফেব্রুয়ারি আত্মকর্মসংস্থান ও ব্যবসায় উদ্যোগ।

২২ ফেব্রুয়ারি ট্রেড-১-এর সব পরীক্ষা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ট্রেড-২-এর সব পরীক্ষা। ২৭ ফেব্রুয়ারি ঐচ্ছিক বিষয় (যেকোনও একটি) উচ্চতর গণিত, হিসাববিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ, কৃষি শিক্ষা। ইসলামের ইতিহাস, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়।

ব্যবহারিক পরীক্ষা ৮ মার্চ থেকে এবং বাস্তব প্রশিক্ষণ ৭ মার্চ থেকে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!