চট্টগ্রামের দুই প্রকল্পে একনেকের সায়, খরচের সঙ্গে সময়ও বাড়লো

চট্টগ্রামের দুটি প্রকল্পসহ ১ হাজার ৬৫৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ‘চট্টগ্রাম জেলা উপকূলীয় এলাকার পোল্ডার নং-৬২ (পতেঙ্গা), পোল্ডার নং-৬৩/১ বি (আনোয়ারা এবং পটিয়া) পুনর্বাসন’ প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী আনা হয়েছে। দ্বিতীয় সংশোধনীতে খরচ বাড়িয়ে ৫৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে যুক্ত হন।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রাম জেলা উপকূলীয় এলাকার পোল্ডার নং-৬২ (পতেঙ্গা), পোল্ডার নং-৬৩/১ বি (আনোয়ারা এবং পটিয়া) পুনর্বাসন’ প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন আনা হয়েছে। এতে খরচও বাড়ছে, সময়ও বাড়ছে। ২৮০ কোটি ৩০ লাখ থেকে খরচ বেড়ে প্রথম সংশোধনীতে হয় ৩২০ কোটি ২৯ লাখ এবং আজকে সংশোধনের পর আরও বেড়ে দাঁড়ালো ৫৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের মে-তে শুরু হওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২০ সালের জুন বেড়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মাল্টি-সেক্টর’ প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন আনা হয়েছে। এ প্রকল্পটিরও ব্যয় ও সময়ও বেড়েছে। ১ হাজার ৫৭ কোটি ৮৪ লাখ থেকে ব্যয় বেড়ে ১ হাজার ৯৮৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২১ সালের নভেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন হবে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

এছাড়া অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প। সংশোধনীতে প্রকল্পের খরচ বাড়ানো হয়েছে। তবে সময় একই রয়েছে। সংশোধনীতে ৪৯১ কোটি ৩৪ লাখ থেকে খরচ বেড়ে ৮৪০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘হাতে কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে মহিলাদের গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণপূর্বক আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচন (ফেজ-২)’ নামে একটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে একনেক সভায়। এতে খরচ করা হবে ১২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, এ চারটি প্রকল্পের মধ্যে সরকারি অর্থায়নে ব্যয় হবে ৭৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস হতে প্রাপ্ত অনুদান ৯১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!