চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা প্রবাসীর ২৭ ভরি স্বর্ণ মেরে পুলিশের হাতে ধরা

আগে থেকে পরিকল্পনা করে বোনের জামাইয়ের সঙ্গে জোট বেঁধে এক ওমানপ্রবাসীর দেওয়া ২৭ ভরি স্বর্ণ মেরে দেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার হয়েছেন চট্টগ্রামের এক ছাত্রলীগ নেতা।

ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম জহিরুল ইসলাম (২৬)। তিনি পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) পাঁচলাইশ থানা পুলিশ জহিরুলকে গ্রেপ্তার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

পতেঙ্গা থানা পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রলীগ নেতা জহিরুলের ভগ্নিপতি ফটিকছড়ির মহিউদ্দিন শিকদার ওমানপ্রবাসী হওয়ার সুবাদে তার সঙ্গে একই এলাকার ফজলুল করিমের ছেলে আবদুল হালিমের সখ্য গড়ে ওঠে। গত ২১ সেপ্টেম্বর মহিউদ্দিন শিকদারকে ওমান থেকে চট্টগ্রামে আসার সময় আবদুল হালিম তাকে ২৭ ভরি ওজনের দুটি স্বর্ণের বার ও দুটি চুড়ি দেন তার পরিবারকে দেওয়ার জন্য। এসব স্বর্ণের দাম প্রায় ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা।

ওইদিন ওমানের ফ্লাইট চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর পর মহিউদ্দিন শিকদার স্বর্ণগুলোর মূল মালিক আবদুল হালিমের আত্মীয় মোহাম্মদ হোসেনকে স্বর্ণগুলো বুঝিয়ে দেবেন— এমনই কথা ছিল।

কিন্তু চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই মহিউদ্দিন শিকদারের আচরণ পাল্টে যায়। আবদুল হালিমের আত্মীয় মোহাম্মদ হোসেনকে এড়িয়ে স্বর্ণের বার ও চুড়িগুলো নিয়ে মহিউদ্দিন শিকদার তার শ্যালক পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, স্ত্রী রাশেদা বেগম ও ছেলে ইরফানসহ একটি মাইক্রোবাসে ওঠে দ্রুতগতিতে পালিয়ে যান। ওদিকে স্বর্ণের জন্য অপেক্ষায় থাকা মোহাম্মদ হোসেন তাদের পালিয়ে যেতে দেখে একটি অটোরিকশা নিয়ে ধাওয়া করলেও তাদের আর নাগাল পাননি।

শেষ পর্যন্ত কোনোভাবেই আর মহিউদ্দিন শিকদার ও জহিরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে মোহাম্মদ হোসেন বাদি হয়ে জহিরুল ইসলাম ও তার বোন রাশেদা বেগম, ভগ্নিপতি মহিউদ্দিন শিকদার ও ভাগ্নে মো. ইরফানকে আসামি করে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার পরই পাঁচলাইশ থানা পুলিশ জহিরুলের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে পতেঙ্গা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক জহিরুলের গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ি হলেও তিনি থাকেন পাঁচলাইশ এলাকায়। কিশোর গ্যাং পরিচালনা ছাড়াও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!