চট্টগ্রামের চালপট্টিতে চালবাজি দেখতে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট

বস্তায় দাম বেড়েছে ৫০০ টাকা পর্যন্ত

চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে ৫০ কেজি ওজনের চালের বস্তার দাম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। ৩৬ টাকার মোটা স্বর্ণা সিদ্ধ চালই এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়। চালের দামের লাগাম টানতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের চালপট্টিতে অভিযান পরিচালনার সময় এ অবস্থা দেখতে পান।

করোনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার খাদ্যপণ্য উৎপাদন, পরিবহন স্বাভাবিক রাখলেও অদৃশ্য শক্তির কারসাজিতে চালের বাজার উর্ধ্বমুখী।

রোববার (২১ জুন) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে মো. উমর ফারুক। আড়তে মূল্য তালিকা না রাখায় মেসার্স আফসার এন্ড ব্রাদার্সকে পাঁচ হাজার ও মাসুদ এন্ড ব্রাদার্সকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে।

নগরের বেশ কয়েকজন মুদি দোকানির সাথে কথা বলে জানা গেছে, ৫০ কেজি ওজনের চালের বস্তায় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত মূল্য বেড়েছে। যে কারণে ৩৬ টাকার মোটা স্বর্ণা সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়। ৪২ টাকার পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। ৪৭ টাকার কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়। ৪০ টাকার মিনিকেট চাল ৪৫ টাকায়, ৪৬ টাকার নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকায়। আবার বাজারভেদে দুই থেকে চার টাকা কম-বেশিও বিক্রি হচ্ছে খুচরা মূল্যে।

অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, অভিযানে আড়তদারদের ক্রয় রশিদ ও বিক্রয় রশিদ যাচাই করা হয়। সাথে কয়েক মাসের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয় আসলে তারা দাম বৃদ্ধি করছে কিনা তা দেখার জন্যে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ উত্তরবঙ্গ, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ ও আশুগঞ্জের মিল মালিকদের কারণে চালের দাম বাড়তি।

চট্টগ্রামের চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে কেউ দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানা ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক।

অভিযানে কোন দোকানে ওএমএসের চাল মজুদ আছে কিনা তাও তদারকি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!