চট্টগ্রামের চারজনসহ ৫২ এমপি বছরের প্রথম সংসদ অধিবেশনে যাননি

৫২ জন সংসদ সদস্য চলমান একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম এবং বছরের প্রথম অধিবেশনে যাননি। এর মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রামের চার সাংসদও।

ওই অধিবেশনে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে গেলেও উপস্থিত ছিলেন না বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। রওশন এরশাদ অবশ্য প্রায় দুই বছর ধরেই সংসদের কোনো কার্যক্রমে অংশ নেন না অসুস্থতার কারণে।

চট্টগ্রামের যে চারজন সাংসদ অধিবেশনে যোগ দেননি, তারা হলেন আওয়ামী লীগের দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪), এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৬), মো. আফছারুল আমীন (চট্টগ্রাম-১০) এবং আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী (চট্টগ্রাম-১৫)।

জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনটি ১৬ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র পাঁচ কার্যদিবস চলে। করোনার কারণেই মূলত এটি সংক্ষিপ্ত করা হয়। এর মধ্যে ১৬ জানুয়ারি সর্বাধিক ২৩৯ জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ১৭ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ১৩৪ জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন।

অধিবেশনটিতে চট্টগ্রামের চার সাংসদ ছাড়া আরও যারা যোগ দেননি, তারা হলেন— আওয়ামী লীগের আসাদুজ্জামান নূর (নীলফামারী-২), মো. ফজলে রাব্বী মিয়া (গাইবান্ধা-৫), মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রাং (নওগাঁ-৪), ওমর ফারুক চৌধুরী (রাজশাহী-১), মো. আয়েন উদ্দিন (রাজশাহী-৩), শফিকুল ইসলাম শিমুল (নাটোর-২), তাহজীব আলম সিদ্দিকী (ঝিনাইদহ-২), পঞ্চানন বিশ্বাস (খুলনা-১), আব্দুস সালাম মুর্শেদী (খুলনা-৪), এস,এম,জগলুল হায়দার (সাতক্ষীরা-৪), তোফায়েল আহমেদ (ভোলা-১), আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ (বরিশাল-১), আমির হোসেন আমু (ঝালকাঠি-২), তানভির হাসান ছোট মনির ( টাংগাইল-২), আতাউর রহমান খান (টাংগাইল-৩), মো. মুরাদ হাসান (জামালপুর-৪), সৈয়দা জাকিয়া নুর (কিশোরগঞ্জ১), নাজমুল হাসান (কিশোরগঞ্জ-৬), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), আগাখান মিন্টু (ঢাকা-১৪), আকবর হোসেন পাঠান ফারুক (ঢাকা-১৭), রাজি উদ্দিন আহমেদ (নরসিংদী-৫), সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (ফরিদপুর-২), জয়া সেন গুপ্তা (সুনামগঞ্জ-২), হাফিজ আহমদ মজুমদার (সিলেট-৫), ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর (চাঁদপুর-১), মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী (নোয়াখালী-৪), ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), এ কে এম শাহজাহান কামাল (লক্ষ্মীপুর-৩), তামান্না নুসরাত বুবলী (মহিলা আসন-২৪), মনিরা সুলতানা (মহিলা আসন-২৬), আদিবা আনজুম মিতা (মহিলা আসন-৩৭) এবং ফেরদৌসী ইসলাম (মহিলা আসন-৩৮)।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির গোলাম মোহাম্মদ কাদের (লালমনিরহাট-৩), রাহগির আল মাহি এরশাদ (রংপুর-৩), পনির উদ্দিন আহমদ (কুড়িগ্রাম-২), মো. রুস্তম আলী ফরাজী (পিরোজপুর-৩), রওশন এরশাদ (ময়মনসিংহ-৪), লিয়াকত হোসেন খোকা (নারায়ণগঞ্জ-৩), একেএম সেলিম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৫), মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (ফেনী-৩), শেরীফা কাদের (মহিলা আসন-৪৫) এই অধিবেশনে যোগ দেননি।

এছাড়া বিএনপির মো. মোশারফ হোসেন (বগুড়া-৪), আবদুস সাত্তার ভুঞা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা (রাজশাহী-২), বিকল্প ধারার মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী (মুন্সিগঞ্জ-১), স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন (ফরিদপুর-৪) এবং সেলিনা ইসলাম (মহিলা আসন-৪৯) অধিবেশনটিতে অনুপস্থিত ছিলেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!