চট্টগ্রামের করখেলাপি ফেরদৌস হুদার দরজা বন্ধ এফবিসিসিআই নির্বাচনে

দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে গত ৩১ মার্চ পরিচালক পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করা ৮১ জন প্রার্থী বাছাইয়ে টিকে গেলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এবিআর) করখেলাপি হওয়ায় বাদ পড়েছেন দুজন প্রার্থী। এদের একজন চট্টগ্রামের ফেরদৌস হুদা চৌধুরী এবং অন্যজন কেএম আখতারুজ্জামান।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) কর ও ঋণখেলাপি এবং পুলিশসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার তথ্য খতিয়ে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।

জানা গেছে, করখেলাপের কারণে প্রার্থিতা থেকে বাদ পড়া ফেরদৌস হুদা চৌধুরী বাংলাদেশ রেলওয়ে স্পেয়ার্স এন্ড এক্সেসরিজ সাপ্লাইয়ার্স এসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি। গত বছরের নভেম্বরে রেলওয়ের ঠিকাদার ফেরদৌস হুদা চৌধুরী ছাড়াও অপর এক ঠিকাদার আফসার বিশ্বাসের কাছে ক্রয় সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য চেয়ে চিঠি দেয় দুদক। ফেরদৌস হুদা চৌধুরীর কাছ থেকে ২৬০০ ও ২৭০০ গ্রুপের রেল ইঞ্জিনের জন্য কানাডা থেকে কেনা মটরের তথ্য জানতে চায় দুদক। এছাড়া তিনি রেলওয়েতে যেসব কাজ করেছেন তার আর্থিক মূল্যতালিকা ও প্রকল্পসহ যাবতীয় তথ্য দুদকে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছিল।

এফবিসিসিআই নির্বাচনে মোট পদের সংখ্যা ৮০টি। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন বোর্ড সূত্র জানায়, মনোনীত পরিচালক পদে চেম্বার গ্রুপে ১৭টি ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে ১৭টি পদের বিপরীতে ১৬ জন করে মোট ৩২ জন প্রার্থী হয়েছেন। দুটি মনোনীত পরিচালক পদে প্রার্থী দেয়নি গোপালগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)। অপরদিকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়া জন্য চেম্বার গ্রুপের ২৩ পদের বিপরীতে ২৫ জন এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ২৩ পদের বিপরীতে ২৬ জন প্রার্থী হয়েছেন।

প্রার্থী তালিকায় অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে একমাত্র সভাপতি প্রার্থী বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন। এছাড়া অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে মনোনীত পরিচালক হয়েছেন একেএম সেলিম ওসমান এমপি, ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল, নজরুল ইসলাম মজুমদার, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির, এসএম সফিউজ্জামান, মো. আমিন উল্লাহ, আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, একেএম মনিরুল হক, মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, আবু হোসাইন ভুইঁয়া রানা, খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ, মোহাম্মদ আলী খোকন, মুনির হোসেন ও আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল।

অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে প্রার্থী হয়েছেন— আবু মোতালেব, রব্বানী জব্বার, খন্দকার মঈনুর রহমান জুয়েল, জামাল উদ্দিন, মুনতাকিম আশরাফ, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, আক্কাস মাহমুদ, রাশিদুল হাসান চৌধুরী রনি, এমজেআর নাসির মজুমদার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, এমএ মোমেন, হাবিব উল্লাহ ডন, শফিকুল ইসলাম ভরসা, আমিন হেলালী, হাফেজ হারুন, ড. ফেরদৌসী বেগম, আমজাদ হোসেন, নিজাম উদ্দিন রাজেশ, আসলাম সেরনিয়াবাদ, ড. কাজী এরতেজা হাসান, শাহিন আহমেদ, শমী কায়সার, আবু নাসের, আলী জামান ও ড. নাদিয়া বিনতে আমিন।

চেম্বার গ্রুপ থেকে মনোনীত পরিচালক প্রার্থীরা হলেন— যশোধা জীবন দেবনাথ, প্রীতি চক্রবর্তী, সেরনিয়াবাত ময়নউদ্দিন আব্দুল্লাহ, নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ নুরুন নেওয়াজ, এএম মাহবুব চৌধুরী, ড. মুনাল মাহবুব, আবুল কাশেম খান, নাজ ফারহানা, কাজী আমিনুল হক, সাইফুল ইসলাম, আমিনুল হক শামীম, মো. শামসুজ্জামান, মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, রেজাউল ইসলাম মিলন ও তাহমিন আহমেদ।

চেম্বার গ্রুপ থেকে প্রার্থী হয়েছেন— হাসিনা নেওয়াজ, মাসুদুর রহমান মিলন, আজিজুল হক, দিলিপ কুমার আগরাওয়ালা, মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, আবুল খায়ের মোরসালিন, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, রেজাউল করিম রেজনু, গাজী গোলাম আশরিয়া, গোলাম মোহাম্মদ, বিজয় কুমার কেজরীওয়াল, সুজিব রঞ্জন দাস, ইকবাল শাহারিয়ার, আলী হোসেন, শাহ জালাল, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, তবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু, মোহাম্মদ রিয়াদ আলী, খায়রুল হুদা চপল, খান আহমেদ শুভ, মুতাসিরুল ইসলাম, এসএম জাহাঙ্গীর আলম মানিক, এমএ রাজ্জাক খান, হুমায়ূন রশিদ খান পাঠান ও সালাউদ্দিন আলমগীর।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!