চট্টগ্রামের এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু

বাঁশখালী থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত সঞ্চালন লাইনের ১৯৮ টাওয়ার

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের এক নম্বর ইউনিটের বিদ্যুৎ পরীক্ষামূলকভাবে সরবরাহ শুরু হয়েছে জাতীয় গ্রিডে। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জাতীয় গ্রিডের ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে যুক্ত হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে।

বুধবার (২৪ মে) দুপুর ২টায় ১ মেগাওয়াট দিয়ে শুরু হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ। এক ঘণ্টার পর তা ১০০ মেগাওয়াটের উন্নীত হয়। তবে রাতে সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রেডে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৭০ শতাংশ মালিকানা এস আলম গ্রুপের ছয়টি প্রতিষ্ঠানের। বাকি ৩০ শতাংশ চীনের দুই প্রতিষ্ঠানের যার মধ্যে সেপকোর ২০ এবং আরেক প্রতিষ্ঠান এইচটিজি আছে ১০ শতাংশের মালিোনা।

জানা গেছে, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। এসব উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরবরাহের পিজিসিবি সঞ্চালন লাইনের ১৯৮টি টাওয়ার বসিয়েছে। এসব টাওয়ার বসানো হয়েছে বাঁশখালী থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত। মদুনাঘাটের সাব-স্টেশনের গ্রিডেই বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হবে।

তবে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট এক নম্বর ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে বাঁশখালীর গণ্ডামারা এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়। প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে যৌথভাবে বিনিয়োগ করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ এবং চীনা প্রতিষ্ঠান সেপকো ও এইচটিজি।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!