চট্টগ্রামের এলাহী বিয়েতে হঠাৎ পুলিশ, মুহূর্তেই হাওয়া বর-কনে-অতিথি

লকডাউনের ভেতরেই আয়োজন করা হয়েছিল এলাহী বিয়ের অনুষ্ঠান— তাও রীতিমতো কনভেনশন সেন্টারে। অর্ধহাজার লোকের বিশাল আয়োজন। এমন বিয়ের অনুষ্ঠানে আচমকা হাজির হল পুলিশ। গাড়ি দেখেই বর-কনেসহ বিয়েতে আসা অতিথিরা যে যেদিকে পারলেন, দৌড়ে গা বাঁচালেন। অনেকে খাবারের প্লেট অর্ধসমাপ্ত রেখেই দিগ্বিদিক ছুটে পালালেন।

সোমবার (২৮ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়ায় বিয়ে নিয়ে এই কাণ্ড ঘটেছে।

সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত তিনদিনের সীমিত লকডাউন চলছে সারা দেশে। সরকারঘোষিত এই লকডাউনে বিয়েসহ যেকোনো ধরনের জনসমাগমের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ এই নিষেধাজ্ঞার পরও রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়ায় কর্ণফুলী কনভেনশন হল নামে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করা হয় বিয়ে অনুষ্ঠানের। তাতে অন্তত ৫০০ লোকের খাবারের আয়োজন করা হয়। বরবরণ থেকে প্রীতিভোজ— সবকিছু ঠিকঠাকভাবেই চলছিল।

চট্টগ্রামের এলাহী বিয়েতে হঠাৎ পুলিশ, মুহূর্তেই হাওয়া বর-কনে-অতিথি 1

কিন্তু দুপুর একটার দিকে বর রফিকুল ইসলাম ও কনে শাহনাজ বেগমের সেই বিয়েতে হঠাৎ হাজির হল পুলিশ। ধাওয়া দেওয়ার আগেই উপস্থিত অতিথিরা তো বটেই, বর-কনেও দৌড়ে পালালেন।

পুলিশের উপস্থিতিতে জনশূন্য কমিউনিটি সেন্টারে অনেক খোঁজাখুঁজির পর শেষে কর্ণফুলী কনভেনশন হলের ম্যানেজার জামাল উদ্দিন বাদশা এবং পাত্রীর বাবা জামাল হোসেনের খোঁজ মেলে। এরপরই তাদের আটক করা হলেও প্রথমবারের মতো মুচলেকা নিয়েই ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের।

অভিযানটির নেতৃত্বে ছিলেন রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনোয়ার হোসেন শামীম। তিনি বলেন, ‘আমি ফোর্স নিয়ে যেই না কমিউনিটি সেন্টারের সামনে গাড়ি থেকে নেমেছি, সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে শুরু হয়ে গেল হুড়োহুড়ি, ছোটাছুটি। ঢোকার পর ২-৩ মিনিটও যায়নি, হঠাৎ আবিষ্কার করি আমার সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা ছাড়া আশপাশে আর কেউ নাই। এতোগুলা মানুষ এমন ভোজবাজির মতো অদৃশ্য হয়ে গেল!’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!