চট্টগ্রামের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা করোনার টিকা পাবে তিন কেন্দ্রে, মঙ্গলবার শুরু

চট্টগ্রামে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) থেকে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা নিতে পারবে করোনা ভ্যাকসিন। ধাপে ধাপে স্কুল শিক্ষার্থীরা এ ভ্যাকসিন নিতে পারবে।

মঙ্গলবার প্রথম দিনে চট্টগ্রামের মির্জা আহম্মেদ ইস্পাহানী উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল (চট্টেশ্বরী শাখা) ও স্যার মরিস ব্রাউন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শুরু হবে এই টিকাদান কর্মসূচি।

তবে প্রথম ধাপে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন। টিকাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখিয়ে টিকা নিতে পারবে।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক রোববার (৭ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানভিত্তিক তালিকা জেলা শিক্ষা অফিস ও সিভিল সার্জনের মাধ্যমে নির্ধারিত কেন্দ্রে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি দেখাতে হবে। এছাড়া নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে নমুনা টিকা কার্ড সংগ্রহ করে পূরণ করা কার্ডের দুই কপি সাথে নিয়ে আসতে হবে।

চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, ধারাবাহিকভাবে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। নির্ধারিত ছয়টি কেন্দ্রের মধ্যে আপাতত তিনটি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। বাকি তিন কেন্দ্রে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা না থাকায় টিকাদান কর্মসূচি চালু করা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, আপাতত মির্জা আহম্মেদ ইস্পাহানী উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল, স্যার মরিস ব্রাউন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কাল থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।

জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন, ‘আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। তবে আপাতত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুধুমাত্র ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম চলবে।’

এর আগে গত ৩১ অক্টোবর নগরীর সরকারি-বেসরকারি ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে টিকাদান কেন্দ্র করতে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর চিঠি দেয় চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার।

আরএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!