চট্টগ্রামের উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, প্লাবিত কর্ণফুলীর ৩ ইউনিয়ন

চট্টগ্রামের উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। অমাবস্যা ও বায়ুচাপের পার্থক্যের কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৮ ফুট বেশি জলোচ্ছ্বাসে ডুবে গেছে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা, চরপাথরঘাটা ও জুলধা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। ফলে রাতে প্রতিটি গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

ঘূর্ণিঝড়

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝি অংশ দিয়ে বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে। ভোররাত নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টির মূলভাগ বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে সাগর। ফলে পায়রা, মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরে ৭ এবং কক্সবাজার বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত বহাল আছে।

এছাড়া সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় ঘরবাড়ি ডুবে গেছে অনেকের। শিশু, রোগী ও বয়স্কদের নিয়ে রাতযাপন করতে অনেকের খুব কষ্ট হচ্ছে বলে জানান চরপাথরঘাটা এলাকার ইউপি সদস্য ফরিদ জুয়েল।

চরপাথরঘাটা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ইউনিয়ন টিমলিডার এম মঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সকল স্বেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করছেন। তারা পানিতে ডুবে থাকা গ্রামের লোকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনছেন।’

ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শিকলবাহা এলাকার ১, ২ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ বেশি অসহায় হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দি হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রেও যেতে পারছেন না। বৈরী আবহাওয়া ও জোয়ারের পানি বাড়ায় মানুষের কষ্ট বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি সেবা দিতে।

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। হটলাইন নম্বর খোলা হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ সেবা পেতে পারেন। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কথা মাথায় রেখে উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!