চট্টগ্রামের উন্নয়ন সমন্বয় করতে উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং কমিটি হচ্ছে

চট্টগ্রামের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সমন্বয় করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের সরকারি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হচ্ছে। মন্ত্রী পরিষদ সচিবের নেতৃত্বে এই কমিটিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ ৩২ সেবাধর্মী সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের রাখা হবে। আর চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে যাতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয় সে বিষয়েও চট্টগ্রামের সব সেবা সংস্থার প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে। বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর দুইটায় সচিবালয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের কক্ষে এ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে অংশ নেওয়া চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন রাতে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, চট্টগ্রামে ৩২ সরকারি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান থাকলেও শুধুমাত্র চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দিয়ে পরিচালিত হয়। কিন্তু বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছামত সমন্বয়হীন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনগণকে।এতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রামের সকল সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সমন্বয় সভা করতে যাচ্ছে সরকার। যদিও এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চট্টগ্রামের মেয়রের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে সকল সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান তা মানছে না।

মূলত: এ উদ্যোগটি নিয়েছেন চট্টগ্রামেরই সংসদ সদস্য ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয়ের কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলমের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী।
এতে অংশ নেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তবে চট্টগ্রামের আরেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ( ভূমিমন্ত্রী ) জাবেদ বিদেশে থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। এছাড়া সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান, সড়ক পরিবহন বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, নৌ-পরিবহন বিভাগের সচিব, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বেসামারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক।

মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রামে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা হয়েছে। নানা প্রস্তাবনা উঠে এসেছে। সমস্যার পথও দেখানো হয়েছে। সব মিলিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সমন্বয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। যাতে মানুষের দুর্ভোগ না হয়। সেজন্য মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

এডি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!