চট্টগ্রামের ইমপেরিয়াল হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা, ডা. রবিউলসহ আসামি ৩

বেআইনিভাবে চাকরি থেকে অপসারণের অভিযোগ এনে চট্টগ্রামের খুলশী এলাকার ইমপেরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক কর্মচারী।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের প্রথম শ্রম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ইমপেরিয়াল হাসপাতালের স্টোর কিপার আনোয়ার হোসেন।

২০১৮ সালের শ্রম আইনের ৩৩(৩) ধারা অনুযায়ী ইমপেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. রবিউল হোসেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ হোসাইন এবং প্রশাসনিক ম্যানেজার সালাউদ্দীন আহমেদসহ মোট তিনজনকে আসামি করে মামলাটি (নম্বর ১৪/২০২২) দায়ের করা হয়।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালের ১ এপ্রিল সহকারী স্টোর কিপার হিসেবে ইমপেরিয়াল হাসপাতালে যোগ দেন আনোয়ার হোসেন। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট তিনি স্টোর কিপার হিসাবে পদোন্নতি পান। চলতি বছরের ১৯ জুলাই ইমপেরিয়াল হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ হোসাইন স্বাক্ষরিত একটি কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হয় আনোয়ারকে। এর এক সপ্তাহের মাথায় ২৭ জুলাই তাকে ইমপেরিয়াল হাসপাতাল থেকে চাকরিচ্যূত করা হয়।

আনোয়ার হোসেন অভিযোগে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা কোন অভিযোগই স্পষ্ট নয়। তার বিরুদ্ধে লাঞ্চের সময় ২-৩ ঘন্টা অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ আনা হলেও সেখানে কোন প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। কত দিন বা কোন দিন কয় ঘন্টা অনুপস্থিত ছিলেন— সে বিষয়েও কিছু উল্লেখ করা হয়নি। অন্যদিকে সিনিয়র মানবসম্পদ কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সায়েদ ইফতেখারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আনা হলেও সেখানেও কোন প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। কী ধরনের খারাপ আচরণ করা হয়েছে, তারও কোন উল্লেখ নেই।

আনোয়ার অভিযোগ করেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ হোসাইন তাকে ক্ষমা চেয়ে নিলে নোটিশ প্রত্যাহার করা হবে বলে আশ্বাস দেন। এরপর তিনি অন্যায় না করার পরও রিয়াজ হোসাইনের মৌখিক নির্দেশে ক্ষমা চেয়ে একটি চিঠি দেন। কিন্তু এরপরই ২৭ জুলাই তাকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্তের চিঠি পাঠানো হয়।

এতে শ্রম আইনের বড় ধরনের বাত্যয় ঘটেছে উল্লেখ করে আনোয়ার হোসেন বলেন, বরখাস্তের ওই আদেশ শ্রম আইন ও বিধিমালা অনুসারে সম্পূর্ণ অবৈধ।

এ বিষয়ে ইমপেরিয়াল হাসপাতালের ম্যানেজার (প্রশাসন) ও মামলার ৩ নম্বর আসামি সালাউদ্দীন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করে মানবসম্পদ বিভাগের সাথে কথা বলার অনুরোধ জানান। এরপর মানবসম্পদ বিভাগে যোগাযোগ করেও কারও বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

জেএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!