চট্টগ্রামের ইফরানের ছয় উইকেট, পিনাকের শতরান

জাতীয় ক্রিকেট লিগ

জাতীয় ক্রিকেট লিগে রাজশাহীতে চট্টগ্রামের হয়ে সিলেটের বিপক্ষে বল হাতে তরুণ পেসার ইফরান হোসেনের আগুন জ্বালানো বোলিংয়ে ছারখার হয়ে যায় সিলেটের ব্যাটিং লাইনআপ। এরপর ব্যাট হাতে শতকের দেখা পেয়েছেন পিনাক ঘোষ।

বৃষ্টি আর ভেজা আউটফিল্ডের কারণে ম্যাচের প্রথম দুদিন কোনো খেলা হয়নি। তৃতীয়দিন আগে ব্যাট করতে নেমে ১৬৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় সিলেট ডিভিশন। ইফরানের বোলিং তোপের সামনে দাঁড়াতে পারেননি তাদের কোনো ব্যাটসম্যানই। সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন অধিনায়ক অলক কাপালি। ইমতিয়াজ হোসেন ২৪ ও জাকির হোসেন ২১ রান করেন।

ইরফানের ৬ উইকেটের সঙ্গে তিন উইকেট নিয়ে সিলেটের বিপর্যয় বাড়িয়েছেন হাসান মাহমুদ। এক উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা।

পিনাক সেঞ্চুরি পেলেও সিলেট ইনিংসের জবাব দিতে নেমে খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই চট্টগ্রাম। ১৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে তারা। এরমধ্যে একাই ১০০ রান করেন পিনাক। ৮৩ বলে ১৬ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো তার ঝড়ো ইনিংস। ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রামের সাতজনের মধ্যে আর মাত্র একজনই দুই অঙ্কের ঘরে যান, ওপেনার সাদিকুর রহমান (৩৭)।সিলেটের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ ও এনমুল হক জুনিয়র।

অন্যদিকে, রাজশাহী ডিভিশনের প্রথম ইনিংসে করা ২০১ রানের জবাবে ২৭৪ রানে অলআউট হয় রংপুর ডিভিশন। আগেরদিন ৬ উইকেটে ২৬৩ রান করা রংপুর এদিন ১১ যোগ করেই অলআউট হয়ে যায়। আগেরদিন ৫৫ রানে অপরাজিত থাকা নাসির হোসেন এদিন আউট হন ৬২ রানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও স্বস্তিতে নেই রাজশাহী। ১২৯ রানে ৬ উইকেট নেই তাদের। জুনায়েদ সিদ্দিক ৩৪ ও সাকিনুর হোসেন ২৯ ছাড়া বাকিদের কেউ বলার মতো রান করতে পারেননি। চার উইকেট হাতে রেখে ৫৬ রানের লিড তাদের।

সোহরাওয়ার্দী শুভ, মাহমুদুল হাসান ও তানভীর হায়দার প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়ে রাজশাহী ইনিংসের চাকা আটকে দিয়েছেন।

আরেক ম্যাচে, খুলনার ৩৭১ রানের জবাবে আদেরদিন ২ উইকেটে ২০৬ রান করেছিল ঢাকা ডিভিশন। তৃতীয়দিনে ৩১৬ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ফিফটি করেন তাদের দুই ওপেনার। রনি তালুকদার ৭৩ ও জয়রাজ শেখ ৫১ রান করেন। এছাড়া সাইফ হাসান ৭২ ও রকিবুল হাসান ৫১ রানে ফেরেন।

খুলনার হয়ে মেহেদী হাসান চারটি ও আবদুর রাজ্জাক নেন তিন উইকেট।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!