চট্টগ্রামের আন্দকিল্লায় সন্ত্রাসী হামলায় তিন প্রতিবন্ধীসহ আহত ৬

ভূমি বিরোধের জের

ভূমি বিরোধের জের ধরে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের হামলায় তিন প্রতিবন্ধী যুবকসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে দাবি করছে পরিবার। মঙ্গলবার (৩ জুলাই) সকাল এগারোটায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে,হামলায় অংশ নিয়েছেন কারাবন্দি সন্ত্রাসী কিরিচ বাবুলের অনুসারীরা। সন্ত্রাসীদের হাতে বাক প্রতিবন্ধী মো. জাহেদ ও মো. মাসুদ ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মো.রাসেল আহত হন। এছাড়াও তাদের চাচা আবুল কালাম, তার স্ত্রী ও বেলাল নামে এক ছেলেও আহত হন।

নগরীর আন্দরকিল্লা সংলগ্ন ঘাটফরহাদবেগ এলাকার আবুল কালামের বাড়ি দখল করতে এই হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।এ সময় তারা বিনা উস্কানিতে যাকে যেখানে পেয়েছে সেখানেই আঘাত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আবুল কালামের ছেলে বেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, হামলায় আমার তিন প্রতিবন্ধী চাচাতো ভাই জাহেদ, রাসেল ও মাসুদ আহত হয়েছেন।আমার বাবা,মা এবং আমিও আঘাত পেয়েছি।সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঘরে এসেছি। কিন্তু জাহেদ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

ভূমি দখল চেষ্টায় সন্ত্রাসী হামলা।
ভূমি দখল চেষ্টায় সন্ত্রাসী হামলা।

ওই জায়গার মালিক আবুল কালামের ছেলে বেলাল আরো জানান, চলতি বছর এপ্রিলের শুরুতে মাসুম নামে এক ব্যক্তি নবী হোসেন নামের আরেক ব্যক্তি থেকে ভূমি ক্রয় করেছেন বলে দাবি করে দখল করতে আসছিলেন। অথচ এই জায়গা আমাদের মৌরশি। আমাদের কেউ এই জায়গা বিক্রি করেনি। এই জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা আছে। আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

বেলাল আরো জানান, এপ্রিলে হামলার তিনমাস পর আজ আবার এসে সীমানা প্রাচীর, ঘর ভাঙচুর করার পাশাপাশি আমাদের পরিবারের সদস্যদেরও আঘাত করেছেন। তিনি আরও দাবি করেন, হামলায় মাসুম নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাকে সহযোগিতা করেছে কারাবন্দি সন্ত্রাসী কিরিচ বাবুলের ছেলে নেওয়াজ ও বাবুলের ভাতিজা ইমুর তাদের অনুসারীরা।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছিলাম।পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে জাহেদকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে রাত দশটা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক জহিরুল হক ভূঁইয়া জানান, মারামারির ঘটনায় জাহেদ নামের এক যুবক মেডিকেলে ভর্তি আছে।তার চিকিৎসা চলছে।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!