চট্টগ্রামসহ ৪ জেলায় ৮২% পোশাক শ্রমিকের আয়ে ধস নেমেছে

দুই সংস্থার যৌথ জরিপের তথ্যপ্রকাশ

করোনাভাইরাসের কারণে দেশের কমপক্ষে ৮২ শতাংশ পোশাক শ্রমিকের জীবিকার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে। করোনা সংকটের আগে ৫১ শতাংশ শ্রমিক পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতেন, এদের মধ্যে ১৮ শতাংশ এখন আর পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে পারছেন না।

চট্টগ্রাম, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত পোশাকশ্রমিকদের ওপর জরিপ চালিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জরিপে অংশ নেওয়া তিন-চতুর্থাংশ পোশাকশ্রমিকই নারী।

দেশের পোশাক শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার ওপর করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব মূল্যায়ন করতে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রো ফাইন্যান্স অপরচুনিটিজ (এমএফও) যৌথভাবে গত ১৫ সপ্তাহে এক হাজার ৩৬৭ জন পোশাকশ্রমিকের ওপর ধারাবাহিকভাবে এক জরিপ চালায়। এর সর্বশেষ জরিপেও এক হাজার ২৬৯ শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।

জরিপে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকদের ৫১ শতাংশ জানিয়েছেন, মহামারির আগে তারা পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতেন। নারীদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ ও পুরুষদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ একই কথা জানিয়েছেন।

করোনা মহামারির আগে যারা পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতেন, তাদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ নিয়মিত টাকা পাঠাতেন। ৩৩ শতাংশ মাঝে মধ্যে এবং ৯ শতাংশ কখনও কখনও টাকা পাঠাতেন। করোনা সংকটের আগে যে ৫১ শতাংশ শ্রমিক পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতেন, তাদের মধ্যে ১৮ শতাংশ এখন আর পরিবারের কাছে টাকা পাঠান না।

এছাড়া ৫৮ শতাংশ তাদের পরিবারে আগের চেয়ে কম টাকা বা আগে যতবার পাঠাতেন, তার চেয়ে কমবার পাঠানোর কথা জানিয়েছেন। ২২ শতাংশ জানিয়েছেন, কোভিড-১৯-এর কারণে তাদের পরিবারের কাছে পাঠানো অর্থের পরিমাণের ওপর কোনও প্রভাব পড়েনি।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৯ শতাংশ অন্তত একবার হলেও অভিবাসন করার কথা জানিয়েছেন। এদের মধ্যে ৯১ শতাংশ নারী ও ৮৩ শতাংশ পুরুষ। ৮১ শতাংশ অভিবাসী শ্রমিক জানিয়েছেন যে তারা চাকরির জন্য অভিবাসন করেছেন। আবার চাকরির জন্য অভিবাসীদের ৬৪ শতাংশ জানিয়েছেন যে তারা একবারই অভিবাসন করেছেন।

জরিপে অংশ নেওয়া পোশাকশ্রমিকদের মধ্যে মাত্র ১৮ শতাংশ জানিয়েছেন, করোনা মহামারি তাদের জীবিকার ওপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!