চট্টগ্রামকে বিবর্ণ করে রংপুরকে রাঙালো গ্রেগরি

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, আবারও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স, সবশেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে টানা চার ম্যাচে হেরে রংহীন হওয়া রংপুরকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে রঙিন করলেন ইংলিশ ক্রিকেটার লুইস গ্রেগরি। তাতে করে উড়তে থাকা চট্টগ্রাম ঘরের মাঠে শেষটায় বড্ড বিবর্ণ হয়ে ঢাকা ফিরবে।

চট্টগ্রামের এই দশা করেন ইংল্যান্ডের হয়ে মাত্র পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ক্রিকেটার গ্রেগরি। তিনি শনিবার চট্টগ্রামের বোলাদের বিপক্ষে রীতিমতো তাণ্ডব চালান। ৩৭ বল খেলে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৭৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে নির্ধারিত ওভারের ৮ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। আগের দু’ম্যাচে দুই শতাধিক রান করা চট্টগ্রাম এদিন করেছিল মাত্র ১৬৩ রান।

১১.৫ ওভারে দলীয় ৭৬ রানে ৪ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর হাল ধরেন গ্রেগরি ও ফজলে মাহমুদ। পঞ্চম উইকেটে তারা ৪৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ৯১ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। দলের জয়ের ম্যাচে ২১ বলে ৪টি চার ও দুটি ছক্কায় অপরাজিত ৩৮ রান করেন ফজলে মাহমুদ। এ ছাড়া ২৪ রান করেন টম অ্যাবল।

শনিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে আভিস্কা ফার্নান্দোর ফিফটিতে ভর করে ৭ উইকেটে ১৬৩ রান করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। লেন্ডল সিমন্সকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। ফর্মে ফেরার ইঙ্গিতটা শুরুতেই দিলেন কাটার মাস্টার। শততম টি-টোয়েন্টিতে সাফল্য মিলে শুরুতেই।

এরপর যা একটু লড়াই করলেন আভিস্কা ফার্নান্ডো। অন্যদের ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেননি রংপুরের বোলাররা। আভিস্কার ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৭২ রান। আভিস্কা ৩৩ বলে করেন হাফ-সেঞ্চুরি। ৭২ রানে আটকে যান তিনি। ইনিংসে ছিল আটটি চার ও চারটি ছক্কা। আগের ম্যাচগুলোতে ঝড় তুললেও ১৪ বলে ১৬ রানে ফেরেন চাডউইক ওয়ালটন। মুক্তার আলি ৯ বলে ১২ রান। শেষদিকে ১৮ বলে ২০ রান করেন নুরুল হাসান সোহান। লিয়াম প্লাঙ্কেটের ব্যাটে ১২ বলে ১৭।

রংপুরের হয়ে বল হাতে সফল মুস্তাফিজুর রহমান ও লুইস গ্রেগরি। দু’জনই নেন দুটি করে উইকেট। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে প্রথম জয়ের পথটাও করে দেন তারা। পঞ্চম ম্যাচে এসে হাসিমুখে মাঠ ছাড়ল রংপুর রেঞ্জার্স!

সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৬৩/৭ (সিমন্স ০, ফার্নান্দো ৭২, ইমরুল ১০, ওয়ালটন ১৬, নাসির ৯, সোহান ২০, মুক্তার ১২, প্লাঙ্কেট ১৭*, রুবেল ২*; মুস্তাফিজ ২/২৩, মুকিদুল ১/৪২, গ্রেগরি ২/২৭, নবি ১/৩৩, সঞ্জিত ১/২৫)।
রংপুর রেঞ্জার্স : ১৮.৪ ওভারে ১৬৭/৪ (অ্যাবেল ২৪, সাদমান ১৬, গ্রেগরি ৭৬*, ফজলে ৩৮*; রুবেল ২/৩৭, রানা ১/১৬, প্লাঙ্কেট ১/৪৬)
ফল: রংপুর রেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: লুইস গ্রেগরি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!